তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির নিচে রাখার চুক্তির খসড়া

জলবায়ু পরিবর্তনের লাগাম টানতে প্যারিস সম্মেলনে একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে, যাকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক অর্থনীতিকে কয়েক দশকের মধ্যে রূপান্তরের জন্য ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 12 Dec 2015, 02:27 PM
Updated : 12 Dec 2015, 02:27 PM

দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর শনিবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যরঁ ফাবিউস সম্মেলনে প্রতিনিধিদের সামনে ওই খসড়া উপস্থাপন করেন। 
 
তিনি বলেন, চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া ‘ন্যায়সঙ্গত’, আইনি বাধ্যবাধকতামূলক এবং এতে ‘২ ডিগ্রির বেশ কম উষ্ণায়নের’ সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
 
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলোকে ২০২০ সালের পর থেকে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এতে।
 
এছাড়া গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে বিভিন্ন দেশের প্রতিশ্রুতি ঠিকমত পালন হচ্ছে কি না পাঁচ বছর অন্তর তা পর্যালোচনার বিধান থাকছে।
 
“আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা একটি উচ্চাভিলাষী ও ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তি নিয়ে এসেছি,” বলেছেন ফাবিউস।
 
খসড়ায় সমর্থনের জন্য প্রায় দুইশ দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
বৈষ্ণিক উষ্ণতা বৃদ্ধির লাগাম টানতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘের আয়োজনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৩০ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়।
 
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ-কপ২১ নামে পরিচিত এই সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় চুক্তির আশা টিকে থাকায় শনিবারও বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 
 
চুক্তির খসড়া অনুমোদন হলে তা ‘ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণ’ হবে বলে মনে করছেন মধ্যস্ততাকারীরা।
 

প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে একটি অধিবেশন চলাকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যরঁ ফাবিউস ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন। ছবি: রয়টার্স

শনিবার চুক্তির খসড়া উপস্থাপনের আগে চীনের শীর্ষ মধ্যস্ততাকারী গও ফেং রয়টার্সকে বলেন, “আজ চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার আশা আছে।”
চুক্তি চূড়ান্ত হলে তা বিশ্ববাসীর জন্য একটি শক্তিশালী ‘বার্তা’র পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ‘ইঙ্গিত’ বহন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“এটা হলে দুই দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথম বিশ্বের ধনী ও দরিদ্র দেশগুলো গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর অভিন্ন লক্ষ্য এবং দুই শতকের জীবাশ্ম জ্বালানির আধিপত্যের অবসানে একমত হবে।”
ছয় বছর আগে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনেও একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা।