বিশেষায়িত ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীকে পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সরাতে পারবে না পরিচালনা পর্ষদ।
Published : 23 Dec 2014, 10:22 PM
এখন থেকে ব্যাংকের এমডি বা সিইওকে বরখাস্ত, অব্যাহতি বা অপসারণের জন্য এক মাস আগে নোটিস পাঠাতে হবে।
ওই নোটিসের অনুলিপি পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলেই তা কার্যকর করা যাবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে,“প্রধান নির্বাহী নিযুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং ওইরূপে নিযুক্ত প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত তার পদ হতে বরখাস্ত, অব্যাহতি প্রদান বা অপসারণ করা যাবে না।
“তবে নিয়োগ চুক্তির মেয়াদপূর্তির পূর্বে প্রধান নির্বাহী চুক্তি বাতিল করতে চাইলে বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে পদত্যাগের প্রকৃত কারণ উল্লেখপূর্বক কমপক্ষে এক মাস আগে এ সংক্রান্ত নোটিশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করবেন এবং একই সময়ে ওই নোটিশের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবেন।
“নিয়োগ চুক্তির মেয়াদপূর্তির আগে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চুক্তি বাতিল করতে চাইলে বা প্রধান নির্বাহীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রদান করলে তার কারণ উল্লেখপূর্বক প্রধান নির্বাহীকে কমপক্ষে এক মাসের নোটিশ দিতে হবে এবং একই সময়ে ওই নোটিশের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণপূর্বক তাকে অপসারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত নিয়োগ চুক্তি বাতিল কিংবা প্রধান নির্বাহীকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
“প্রধান নির্বাহীর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা মেয়াদান্তে, কিংবা অন্য কোনো কারণে উক্ত পদ শূন্য হলে ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে শূন্য পদে প্রধান নির্বাহী পদের অব্যবহিত নিচের পদ হতে কোনো যোগ্য কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হিসেবে (সর্বোচ্চ ৩ মাস) নিয়োজিত করে উক্ত কর্মকর্তার বিবরণসহ বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।”
২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নিযুক্তি ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত বিধি বিধান জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই সার্কুলারে প্রধান নির্বাহীর নিযুক্তি এবং বরখাস্ত, অব্যাহতি বা অপসারণ ও পদত্যাগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলা হলেও কোনো সময় নির্ধারিত ছিল না।