সাত শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি নিয়ে শুরু হল নতুন অর্থবছর।
Published : 12 Aug 2014, 08:40 PM
পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে তা কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
৫ জুন চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জুনের মধ্যে গড় মূল্যস্ফীতি ( ১২ মাসের গড়) মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি এবং ২০১৫ সালের জুন শেষে তা আরও কমে আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এতোদিন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করে আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করতো। গত তিন মাস ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী তা প্রকাশ করছেন; সঙ্গে অবশ্য বিবিএসের কর্মকর্তারাও থাকছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুন মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জুলাইতে সেটি সামান্য বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ হয়েছে।
জুনে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জুলাইতে তা বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। তবে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি এসময়ে কিছুটা কমেছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ শতাংশ, জুলাইয়ে তা কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাব ও গৃহস্থালি সামগ্রী, চিকিত্সাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণসহ খাদ্য-বহির্ভূত খাতের বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেড়েছে। একারণে মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিবিএসের মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। ঈদকে ঘিরে পোশাক ও গৃহসজ্জার নানা পণ্যের বাজার ছিল বেশ সরগরম। মূল্যস্ফীতিতে তার প্রভাব পড়তে পারে।