নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 04 Jun 2014, 05:36 PM
জটিলতায় পিছিয়ে যাওয়া এই সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়ার একদিন পর বুধবার সংসদে এক প্রশ্নে তিনি এই আশার কথা জানান।
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে সময় লাগবে প্রায় চার বছর। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালে এই সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার করতে পারবে বলে আশা করা যায়।”
খানিক পরে এই সংসদ সদস্যের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের আগেই এই সেতুর কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ হলে রাজধানীর সঙ্গে পিরোজপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে।
এতে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
সোমবার পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয় চীনা কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর কাজ চলতি বছরের জুন/জুলাই মাসে শুরু হবে।
পদ্মা সেতু দ্বিতল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “নিচে রেল, ওপরে গাড়ি চলবে। এটা বাংলাদেশে প্রথম।”
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি ঝুলে যায়।
“আমরা নিজস্ব অর্থায়নে চার বছরে এই সেতু নির্মাণ করব,” সংসদে বলেন সরকার প্রধান।
পদ্মা সেতুতে কথিত দুর্নীতি বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দালিলিক প্রমাণ চাওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ জানাই। কিন্তু, তারা যে ডকুমেন্ট দেয়; তা দেখে আমি বলি, এটা তো বিএনপির সময়।”
এই সেতু নির্মাণে বিদেশি কোনো সহায়তা নেয়া হবে কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাজেটে অর্থ বরাদ্দ আছে। ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। কেউ সহায়তা করলে নেব।
“তবে কারো কাছে টাকা চাইতে যাব না। নিজের পয়সায় করব।”
জাতীয় পার্টির ফিরোজ রশীদ চৌধুরী জানতে চান, পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়া হবে কি না? উত্তরে তা বিবেচনার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা।