চোরাচালান রোধে উপকূল রক্ষী বাহিনী কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে সরকার, এজন্য তাদের জন্য ১৪টি জলযান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Published : 12 Jul 2016, 05:47 PM
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’সহ মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপকূলীয় অঞ্চলের চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধের কাজ আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন ধরনের ১৪টি জলযান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৪৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
“উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটির কাজ আরও গতিশীল করতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়,” বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
অনুমোদিত পাঁচ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭০০ কোটি ৮ লাখ টাকা। পুরো অর্থই সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।
সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো হচ্ছে- ৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জেলা সদর ও ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপির ব্যারাকসমূহের ভৌত সুবিধাদি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; ৮৭ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয়ে ‘বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ” প্রকল্প;শিল্প ও শক্তি বিভাগের ‘বিসিক শিল্প নগরী, ভৈরব (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’, এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৯১ টাকা।
এছাড়া ৪১ কোটি ৫৮ টাকা ব্যয়ে ‘ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিনোভেশন এন্ড এক্সপানশন (বিএমআরই) অব দ্য এক্সিসটিং ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার, মাধবদী, নরসিংদী (১ম সংশোধিত)প্রকল্প’ অনুমোদন পেয়েছে একনেকে।