এবারের রোজায় বেশি স্বস্তির আশা সিএমপি কমিশনারের

রোজায় চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট নিরসন, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 03:02 PM
Updated : 24 May 2017, 03:02 PM

এসব উদ্যোগের ফলে নগরবাসী গতবারের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি স্বস্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার।

বুধবার বিকালে সিএমপি সদর দপ্তরে ব্যবসায়ী ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার সংবাদ সম্মেলনে এসব উদ্যোগ সম্পর্কে জানান।

তিনি জানান, প্রতিটি মার্কেটে প্রথম রোজা থেকে ১৫ রোজা পর্যন্ত বেলা দুইটা থেকে রাত ১২টা এক পালা এবং ১৬ রোজা থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ৮টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত দুই পালায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

পুলিশের নির্ধারণ করা ৪২টি পার্কিং স্পটের বাইরে কোনো স্থানে গাড়ি পার্কিং করলে ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা জানান পুলিশ কমিশনার।

এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় ৪০০ কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রাখার পাশাপাশি মালিক সমিতিকেও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের আহাবান জানানো হয়েছে।

ইকবাল বাহার জানান, এবছর নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করা হবে। তারা ক্রেতাদের যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করবেন।

এবছর নিউ মার্কেট, সানমার ওশান সিটি, সেন্ট্রাল প্লাজাসহ পাঁচটি মার্কেটে পুলিশের পক্ষ থেকে ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে। এসব বোর্ডে পার্কিং স্থানে কয়টি গাড়ি রাখার স্থান আছে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, টেরিবাজার সড়কে চলাচল করা যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ওই সড়কে কোনো রিকশা ভ্যান ও অটো রিকশাও চলাচল করতে দেয়া হবে না।

সিএমপি কমিশনার বলেন, টেরিবাজারের ব্যবসায়ীরা রমজানে ক্রেতাদের গাড়ি পার্কিং করার জন্য লালদিঘী মাঠ এক মাসের জন্য ভাড়া নেবেন।

এছাড়া রেয়াজউদ্দিন বাজার ও তামাকমুন্ডি লেইনে যাওয়া ক্রেতারা রেল স্টেশন ও মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠে গাড়ি পার্কিং করবে বলে জানানো হয় সভায়।

থানায় জিডি করে ব্যবসায়ীদের টাকা রেখে যাওয়ার পরামর্শ

সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, রোজায় ব্যবসায়ীরা প্রথমদিকে তাদের টাকা ব্যাংকে রাখতে পারলেও শেষদিকে টাকা ব্যাংকে রাখতে পারবেন না। এসময় থানায় জিডি করে টাকা রেখে যেতে পারবেন এবং সুবিধজন্ক সময়ে টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।

এছাড়াও বেশি টাকা বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

শেষ দিকে যানবাহনে চাপ কমানোর জন্য একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পালাক্রমে ছুটি দিতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান সিএমপি কমিশনার।

ঈদের তিনদিন আগে ও পরে ভারি যান না চালানোর জন্য পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনুরোধ করেছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বিভিন্ন জোনের উপ-কমিশনার, ব্যবসায়ী ও পরিবহন নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।