মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘দুর্নীতিমিুক্ত সরকারি সেবা প্রদান সংক্রান্ত’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
নাসিরউদ্দীন বলেন, “দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও গণশুনানি হবে। চেষ্টা করছি কিছু পরিবর্তন আনার।”
“কমিশন হিসেবে আমাদের অনেক ক্ষমতা। যে কোনো সময় যে কাউকে ধরে নিতে পারি। কিন্তু আমরা মানুষের জন্য কতটা করছি,” আত্মসমালোচনার সুর তার কণ্ঠে।
দুদকের সাফল্য তুলে ধরে নাসিরউদ্দীন বলেন, “আমরা ঊধর্ধ্বতন পর্যায়ে কয়েকজনকে শাস্তি দিয়েছি। কয়েকজন জেলেও গেছে। কিন্তু সেটা পরিমাণে কত?
“আমাদের এখানে তো ধাক্কা দিতে হয়। ধাক্কা না দিলে তো কিছুই আগায় না, ঠেলাগাড়ির মতো। এ হলো অবস্থা।”
সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র বিমোচন আরও দ্রুত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন দুদক কমিশনার।
“আমাদের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট অনেক সময় হয়ে যায়। এমপি সাহেবরা বড় ব্যবসায়ী হয়ে গেলে তখন ট্যাক্স আদায় সম্ভব হয় না।”
যার যার অবস্থান থেকে একটু ভালো কাজ করতে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান দুদক কমিশনার।
“দুদক এখন মানুষের কাছে যাচ্ছে। দুদককে দুর্বল ভাবার কিছু নেই। দুর্নীতি একটু কমাতে পারলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ কেন ৮ এ চলে যাবে।”
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবু সাঈদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, গণপূর্ত, মৎস্য বিভাগ, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন্।