চবি'তে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2016, 03:22 PM
Updated : 8 Feb 2016, 03:22 PM

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে এবং শাহ আমানত হলে হওয়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ছয়জন কর্মী আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মো. আরাফাত ও এনাম চৌধুরী, দর্শনের রেজাউল করিম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মো. মাসুম, গণিত বিভাগের মো. ফয়সাল ও আইন বিভাগের মীর্জা কবির।

এদের মধ্যে প্রথম তিনজন সভাপতি এবং পরের তিনজন সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বলে জানা গেছে।

আহত ছয়জনের মধ্যে কবির, মাসুম ও এনাম এই তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

কমিটি ঘোষণার সাতমাসের মধ্যে সোমবার ক্যাম্পাসে তৃতীয়বারের মতো সংঘর্ষে জড়ালো সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের কর্মীরা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই হামলার জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করে বলছেন, বিনা উসকানিতেই এ হামলা করা হয়েছে।

হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

“সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আমরা টিয়ারশেল ব্যবহার করেছি। ছাত্রলীগের কর্মীরা হলে অবস্থান করছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর দাবি, তার পক্ষের কর্মী দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে এলে সেখানে তাকে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা মারধর করে।

এর জের ধরে শাহ আমানত হলে সমঝোতা সভা করতে গেলে সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলে তার আরও দুই কর্মীকে কোপানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়

তবে সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, “বিকালে বিনা উসকানিতে সভাপতি টিপুর অনুসারীরা শাহ আমানত হলে এসে আমার তিনকর্মীকে কুপিয়ে আহত করে।”

কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে সুজনের দাবি, কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করতেই সভাপতি ও তার পক্ষের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে এ হামলা করেছে।

গত বছরের ২০ জুলাই কেন্দ্র থেকে টিপুকে সভাপতি ও সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে।

টিপু সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির এবং সুজন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। 

এই কমিটি হবার পর গত বছরের ২৫ অগাস্ট সোহরাওয়ার্দী হলের কক্ষ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে গত ২ নভেম্বর আবারও সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।