যুদ্ধাপরাধের দায়ে রোববার রাতের প্রথম প্রহরে সালাউদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সন্ধ্যায় নগরীর গণি বেকারি সংলগ্ন বাড়িটিতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, কারাগারে বাবার সঙ্গে তাদের শেষ দেখার সময় তিনি রাঙ্গুনিয়ায় তাকে দাফনের কথা বলেছিলেন।
“উনার শেষ ইচ্ছেটুকুও পূরণ করতে দেওয়া হয়নি।”
‘রাঙ্গুনিয়ার মানুষের আন্তরিকতা’র জন্য তিনি সেখানে সমাহিত হতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন হুম্মাম।
তার বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চায়নি দাবি করে হুম্মাম বলেন, “আমরা যখন বাবার কাছে জানতে চাইলাম মিডিয়াতে মার্সি পিটিশনের খবর, তখন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন-তিনি কোনো ধরনের মার্সি পিটিশন করেননি।”
সংবাদ সম্মেলনে সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
ফারহাত কাদের চৌধুরী বলেন, “দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় এ ট্রায়াল নিয়ে যে কনডেম হয়েছে সেটা তুলে ধরে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলাম, এটাকে মিস ট্রায়াল ঘোষণা দিয়ে রিট্রায়াল শুরুর আবেদন নিয়ে।”
ওই আবেদনের বিষয়টি শুধু পরিবারের সিদ্ধান্ত ছিল না জানিয়ে সাকার ছোট ভাই গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আবেদনের বিষয়টি পারিবারিক ও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।