‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কেন এত হইচই?’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এত হইচই, উদ্বেগ, প্রশ্নে ভীষণ বিরক্ত মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিণত দল হয়ে ওঠা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2015, 06:00 PM
Updated : 12 July 2015, 08:46 PM

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের আবহ সঙ্গীত হয়ে উঠেছে যেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পাওয়া। বাংলাদেশ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সম্ভাবনা নিয়ে চারপাশে স্বস্তি, আনন্দ। হারলেই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে পারে ধরে নিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেল ষড়যন্ত্র তত্ত্বও।

এসব দেখে এবং শুনে, বারবার এ নিয়ে প্রশ্নে বিরক্ত মাশরাফি দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা ক্ষোভের সুরেই জানিয়ে দিলেন নিজের ভাবনা।

“চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এখনও ভাবছি না। এটা অনেক দূরের। যদি থেকেই থাকে আমাদের কপাল, ওটা এমনিতেই হবে। যদি না থাকে হবে না। আট মাস আগেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এত কথা বা এত চিন্তা-ভাবনা কারও ছিল না। আজকে কেন সবাই এত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করছে, আমি জানি না।”

মাশরাফির মতে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাই এখন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

“আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রত্যেকটা ম্যাচ খেলা, প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করা। একটা পরিনত দল হওয়া। আমি আবারও বলছি, আমরা আজকে যেটা করতে পেরেছি, সেটা করেই আমরা গর্বিত নই। চেষ্টা করব আজকে যে ভুলগুলো করেছি, গত ম্যাচগুলোতে যেসব ভুল করেছি, সামনের ম্যাচগুলোকে সেগুলো না করতে।”

এখনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভাবনা বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে অধিনায়কের।

“চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যদি আমরা খেলতে পারি দেশের সব মানুষেরই এটা ভালো লাগবে। তখন আমাদেরও ভালো লাগবে। এখনই এসব ভাবা আমাদের জন্য বেশি বাড়াবাড়ি।”

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ে ওয়ানডে র‌্যাকিংয়ের সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তাই থাকল না। সিরিজের শেষ ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট থাকবে ৯৩। যথাক্রমে আট আর নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের একসঙ্গে বাংলাদেশকে টপকে যাওয়া সম্ভব নয়।

ইংল্যান্ডে ২০১৭ সালের চাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের র‌্যাঙ্কিংয়ে স্বাগতিকরা ছাড়াও অন্য সাত শীর্ষ দল খেলবে। এই হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষ আটের মধ্যে থাকাটা নিশ্চিত হওয়ায় বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।