প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের লিড নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর আশা উজ্জ্বল হয়েছে।
যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭৩ রানের জুটির রেকর্ড গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন তামিম-ইমরুল। ২৩ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ পঞ্চম ও শেষ দিনে ব্যাট করতে নামবে পুরো দশ উইকেট হাতে নিয়ে।
জিততে হলে বলতে গেলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে পাকিস্তানকে। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে আসা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান শফিক সেরকম একটি স্বপ্ন দেখার কথাই শোনান।
"অবশ্যই আমরা জয়ের চেষ্টা করব। আগামীকাল (শনিবার) সকালে স্পিনাররা যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারে, আমরা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারি।"
নিজের দলের বোলারদের ওপর বেশ আস্থাও আছে শফিকের।
"বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভাঙার জন্য যথেষ্ট সামর্থ্য আমাদের বোলারদের আছে। এটা শুধু এক বা দুই উইকেটের ব্যাপার।"
অসম্ভব এক জয় পেতে পাকিস্তান মূলত খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের উইকেট আর স্পিনারদের দিকেই তাকিয়ে আছে।
"সত্যি যে, এটা ব্যাটিং পিচ। পিচ সত্যি ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো এবং ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিংও করেছে। কিন্তু স্পিনারদের জন্য উইকেটে কিছু আছে। আগামীকাল আমরা এই সুবিধা নিতে চেষ্টা করব।"
বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৬২৮ রান করে পাকিস্তান।
আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭৩ রান তোলে বাংলাদেশ। তামিম ১৩৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন। তার সঙ্গী ইমরুলের রান ১৩২।