অনুশীলনে ম্যাচের পরীক্ষা ক্রিকেটারদের

দেশের মাটিতে এক সপ্তাহের অনুশীলনে কতটা উন্নতি হল, তা বুঝতে ম্যাচের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে শিষ্যদের পরীক্ষা করে নিলেন বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2015, 12:22 PM
Updated : 20 Jan 2015, 12:22 PM

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল ভিন্ন রকমের। বরাবরের মতো নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করেননি ক্রিকেটাররা। ম্যাচের মতো করে ফিল্ডিং সাজিয়ে অনুশীলন করেন তারা।

অনুশীলন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশফিকুর রহিম জানান, ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে বলা হয় তাদের।

“বিজয় (এনামুল হক), সৌম্য (সরকার) ও মুমিনুল (হক) নতুন বলে খেলেছে। পরে আমরা মিডলঅর্ডার, পাওয়ার প্লে ও লেটঅর্ডারে যেভাবে ব্যাট করি, সেভাবেই খেলেছি। নিজের পজিশনে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি।”

মুশফিক জানান, প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০ রান, পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান এমন লক্ষ্য দেয়া হয়েছিল তাদের।
“উইকেট পড়লে লক্ষ্য বেড়ে যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানরাই জিতেছে। প্রথম দিকে বোলারদের একটু কষ্ট হলেও শেষের দিকে ওরাও ভালো করেছে।”
সবুজ উইকেটে অনুশীলন করেন ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার মাঠের মতো বাউন্ডারি অনেক বড় করে দেয়া হয়। মুশফিক জানান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের মাঠে সুবিধা নিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
“অস্ট্রেলিয়ায় বড় মাঠের সুবিধা নিতে হবে। অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের মাঠগুলো ছোট হবে। এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, ম্যাচে ফল পাওয়া যাবে।”
কাঁধের চোট সেরে গেলেও এখনো উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে ফেরেননি মুশফিক। তিনি জানান, আরেকটু সময় নিয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে চান তিনি।
“আমার পুনর্বাসনের কাজ এখন শেষ হচ্ছে। ব্যথাটা ডান কাঁধে আর কিপিং করতে হলে ডাইভ দিতে হবে। তাই একটু অপেক্ষা করছি। শুরুতে আমাকে কম ঝুঁকি নিতে বলা হয়েছে। খেলা শুরু হতে এখনো তিন সপ্তাহ সময় আছে, আশা করি, এ সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যাব।”