শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এই অবস্থা থেকে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জেতান স্মিথ ও ম্যাথু ওয়েড।
১১২ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন স্মিথ। রবিন পিটারসেনের বলে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭টি চার মারেন তিনি।
৪৮.৫ ওভারে স্মিথ আউট হওয়ার সময় জয়ের জন্য আর এক রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্যাট কামিন্স পরের বলেই প্রয়োজনীয় সেই রানটি নিয়ে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসান।
৫৯ বলে ৪টি চার ও একটি ছয়ে ৫২ রান করেন ওয়েড।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ডেল স্টেইন ও ওয়েইন পারনেল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করার মতো রান তুলতে পারে এবি ডি ভিলিয়ার্সের কল্যাণে। কামিন্সের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯১ রান করেন তিনি। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার তার ইনিংসটি সাজান ৬টি চারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে। ৬১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ফাফ দু প্লেসির ব্যাট থেকে আসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান।
৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৭ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন জেমস ফকনার ও কামিন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৬৭/৮ (ডি কক ১৭, আমলা ১৮, দু প্লেসি ২৮, ডি ভিলিয়ার্স ৯১, মিলার ৪৫, বেহারডিয়েন ২২, ম্যাকলারেন ১৩, পিটারসন ১১, পারনেল ৩*, স্টেইন ০*; ফকনার ২/৪৫, কামিন্স ২/৬১, কোল্টার-নাইল ১/১৬, স্টার্ক ১/৪০, ম্যাক্সওয়েল ১/৪৩)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২৬৮/৭ (ফিঞ্চ ২২, ওয়ার্নার ৪, ওয়াটসন ১৯, স্মিথ ১০৪, বেইলি ১৬, ম্যাক্সওয়েল ২, ওয়েড ৫২, ফকনার ৩৪*, কামিন্স ১*; স্টেইন ২/৪৭, পারনেল ২/৫২, অ্যাবট ১/৪৩, পিটারসন ১/৪৪, ম্যাকলারেন ১/৬২)।
ম্যাচ সেরা: স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-১-এ এগিয়ে।