শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে (৬/৫৯) প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ২৪০ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
সাকিব ফেরান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, এল্টন চিগুম্বুরা, রেগিস চাকাবভা, জন নিউম্বু, টিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও টাফাজওয়া কামুনগোজিকে।
মাসাকাদজাকে বিদায় করে উইকেট শিকার শুরু করেন বিসিবির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে জুবায়ের হোসেনের ক্যাচে পরিণত হন মাসাকাদজা।
সাকিবের দ্বিতীয় শিকার অলরাউন্ডার চিগুম্বুরা। সিলি পয়েন্টে মুমিনুল হকের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
ব্যক্তিগত ১০ রানে জুবায়েরের বলে সাকিবের হাতে জীবন পান রেগিস চাকাবভা। বল হাতে নিয়ে সাকিবই ফেরান চাকাবভা। স্লিপে শামসুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
নিজের শেষ তিন ওভারের প্রতিটিতে একটি করে উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস খুব একটা বড় হতে দেননি সাকিব। জন নিউম্বুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলার পর টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে মার্শাল আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
পানিয়াঙ্গারাকে বিদায় করে ১২তম বারের মতো টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই প্রথম পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।
টেস্ট খেলেছেন এমন সব প্রতিপক্ষের সঙ্গেই পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন সাকিব। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কোনো টেস্ট খেলেননি তিনি।
অভিষিক্ত টাফাজওয়া কামুনগোজিকে শামসুরের ক্যাচে পরিণত করে নিজের ষষ্ঠ উইকেটটি নেন সাকিব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে শেষ খেলেছিলেন সাকিব। সেই টেস্টে ১৪৮ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। আর শেষ চার টেস্টে এনিয়ে তিনবার পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।