মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, “এখনো টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক খুঁজছি। মাঠে খেলাটা দেখে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ঘোষণা আসবে।”
টেস্টে মুশফিকুর রহিমই থাকছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার সহকারী করা হয়েছে তামিম ইকবালকে। ওয়ানডেতে নেতৃত্ব পান মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অধিনায়কত্বের প্রথম মেয়াদে চোটের কারণে নিয়মিত দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি মাশরাফি। সেবারও তার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এবারো এই অরাউন্ডারকেই সহকারী হিসেবে পেলেন মাশরাফি।
“মাশরাফি যে কোনো সময়ে চোটে পড়তে পারে। অধিনায়ক পরিবর্তন হলেও তার মন খারাপ হবে না। ও ভিন্ন ধরনের মানুষ। সে চোটে পড়লে সহ-অধিনায়ককে দলকে চালাতে হবে।”
আপাতত শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে নেতৃত্বে থাকবেন মাশরাফি। আর এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি।
দেশসেরা পেসারকে নেতৃত্বে আনার ব্যাখ্যায় বিসিবি প্রধান বলেন, “মুশফিক এখন আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। তার আরো উন্নতি করা সম্ভব। আর একই সাথে অধিনায়কত্ব, উইকেটরক্ষণ ও ব্যাটিং করা খুব কঠিন। তাই আমরা ওকে চাপ মুক্ত রেখে দেখতে চাই সে কিভাবে খেলে।”
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব। এর মধ্যেই পেলেন সহ-অধিনায়কত্ব। নেতৃত্বে এলেও বোর্ডের নজরে থাকবেন এই অলরাউন্ডার।
“সাকিবের সমস্যা ওর ব্যবহার। তার খেলাধুলা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, (ব্যবহার পরিবর্তন করতে) এবার সে সেরা চেষ্টাই করেছে।”
নতুন নেতৃত্ব বিসিবির পরীক্ষামূলক সিদ্ধান্ত বলে জানান বিসিবি প্রধান। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।