আপিলের রায়ে বিসিবি, আইসিসির সন্তোষ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর বিষয়ে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল প্রধানের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিসিবি ও আইসিসি।

সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় তারা সন্তুষ্ট।

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক দুটি সংস্থার আপিলে নতুন করে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী। তাকেও ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করায় সন্তুষ্ট বিসিবি ও আইসিসি।

এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করে রায় পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করবে কী না সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি ও আইসিসি। বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদের রায় পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে ক্রীড়া আদালতে আপিল করতে হবে তাদের।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি তার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষিপ্ত রায়ের পর এক যৌথ বিবৃতিতে হতাশা ও বিস্ময় প্রকাশ করেছিল আইসিসি ও বিসিবি। পরে আট জুন জানানো হয় বিস্তারিত রায়।

এদিকে রায়ে শাস্তি কমেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের। আট বছরের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে, যার দুই বছর ক্ষমাযোগ্য শাস্তি।

২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত সংক্ষিপ্ত রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন ও পেসার মাহবুবুল আলম। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রাওয়াদ এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ড্যারেন স্টিভেন্সও নির্দোষ প্রমাণিত হন।

গত ১৪ অক্টোবর আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদকে ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে বিসিবি।

গত বছরের ১৩ অগাস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর জন্য জড়িত থাকায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।