উইন্ডিজে বাংলাদেশের শেষ সুযোগ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হার এড়াতে হলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারা অতিথিদের জন্য কাজটা ভীষণ কঠিনই হবে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2014, 05:30 PM
Updated : 12 Sept 2014, 05:30 PM

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছাড়া আর সব ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার প্রাপ্তির খাতা শূন্য অতিথিদের। শনিবার সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টটিই তাদের শেষ সুযোগ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।

নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলের ভারসাম্য ঠিক করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। খেলার কৌশল কি হবে তা নিয়েও দ্বিধায় রয়েছে অতিথিরা।

আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে ড্রয়ের স্বপ্ন প্রথম ম্যাচে কাজ করেনি। বরং প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে অলআউট হওয়ায় দলটির কৌশল সমালোচনার মুখে পড়ে।

মাত্র তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলায় প্রথম টেস্টে স্বাভাবিভাবেই বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশেকে। আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন আর তাইজুল ইসলামকে উইকেটের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে।

অভিষেকে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট নিলেও ততক্ষণে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে এ দিকটা নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে।

প্রথম টেস্টে দলকে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে সঙ্গীর অভাবে অপরাজিত থেকে যান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার শতকেই ইনিংস হার এড়ায় বাংলাদেশ।

রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া এই দুই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বড় রানই চাইবেন মুশফিক।

প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেলেও প্রথম টেস্টে হতাশ করেছেন নাসির হোসেন। বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে তার রানে ফেরা জরুরি।

দুই পেসার আল-আমিন ও রুবেলের চেষ্টার কমতি ছিল না। রুবেল একটি উইকেট পেলেও আল-আমিন কোনো উইকেটই পাননি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সোহাগ গাজীর পর আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও আম্পায়াররা আপত্তি তোলায় আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ।

চামড়ায় সংক্রমণের জন্য খেলা হবে না শেষ টেস্টে তিন নম্বরে খেলা ইমরুল কায়েসের। তাই দলে একটি পরিবর্তন নিশ্চিত।

একটি পরিবর্তন নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে পাচ্ছে না স্বাগতিকরা।

গেইল না থাকলেও শিবনারায়ন চন্দরপল, ড্যারেন ব্র্যাভো, দিনেশ রামদিন, ক্রেইগ ব্রেথওয়েইটে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী।

সুলেমান বেন, কেমার রোচ, জেরোম টেইলরে গড়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দৃঢ়তা দেখালেও ম্যাচ বাঁচানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।

হার এড়াতে হলে শেষ টেস্টে নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতির কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচ শেষেই অধিনায়ক মুশফিক জানান, ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি দেখতে চান তিনি। কোনো প্রাপ্তি নিয়ে ফিরতে হলে অধিনায়কের আহ্বানে সাড়া দিতেই হবে ব্যাটসম্যানদের।