মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পাঁচ টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটারের।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৩৮-৩৯ সালে পাঁচ টেস্ট সিরিজের সবকটি খেলেছিলেন গর্ডন। তখন ওভার ছিল আট বলের। আর দুই দলের চার ইনিংস শেষ না হওয়া পর্যন্ত টেস্ট চলতেই থাকত। এর মধ্যে ডারবানে শেষ টেস্টটি চলে দশ দিন, যাতে ৯২ ওভার দুই বল বোলিং করেছিলেন গর্ডন।
গর্ডনের ক্যারিয়ার শেষের এই ডারবান টেস্টই ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশেষ সময়বিহীন টেস্ট। ইংল্যান্ড দলের জাহাজ ধরার তাড়া ছিল বলে খেলা শেষ করতে হয়েছিল।
বেয়ারা চুল বশ মানাতে চুলে ভেসলিন ব্যবহার করতেন বলে সতীর্থরা তার নাম দিয়েছিলেন ‘মোবিল’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বয়সের কারণে আর টেস্টে ফিরতে পারেননি গর্ডন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে টেস্ট খেলেছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু তিনিই বেঁচে ছিলেন।
শততম জন্মদিনের সময়ও বেশ সুস্থ ছিলেন গর্ডন। কিন্তু এর পর থেকে শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। বয়সজনিত নানা জটিলতা লেগেই ছিল। চোখে ভালো করে দেখতে ও কানে ঠিক মতো শুনতে পারতেন না।
গর্ডন বেঁচে ছিলেন ১০৩ বছর ২৭ দিন। তার আগে সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকা টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন নিউ জিল্যান্ডের এরিক টিনডিল। এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মারা যান ৯৯ বছর ২২৬ দিন বয়সে। গর্ডনই প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার যিনি বয়সের সেঞ্চুরি করেছেন। তার মৃত্যুতে শেষ হলো টেস্ট ক্রিকেটের একটি অধ্যায়েরও।