হেরাথ নৈপুণ্যে জয় নিয়েই মাহেলার বিদায়

রঙ্গনা হেরাথের বলে সুইপ করতে গিয়ে কৌশল সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। গুটিয়ে গেল পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠের মেঘলা আকাশের নিচে আতশবাজি ফুটতে শুরু করল। শুরু হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার বিজয়ের উৎসব। প্রিয় মাঠে জয় নিয়েই টেস্টকে বিদায় বলতে পারলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2014, 08:10 AM
Updated : 18 August 2014, 12:42 PM

কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয়টি ১০৫ রানের। ২৭১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে পাকিস্তান। চোটের কারণে জুনায়েদ খান ব্যাট করতে নামতে না পারায় জয় নিশ্চিত হয় শ্রীলঙ্কার।

ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়ে যেমন খেলে এসেছেন, শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষবারের মতো ব্যাট করতে নেমেও তেমনি ৫৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেললেন জয়াবর্ধনে। তবু হয়ত একটা আক্ষেপ থাকতে পারত-ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসটা যদি আরেকটু বড় হত! তবে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর এই আক্ষেপ আর থাকার কথা নয় জয়াবর্ধনের। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এর চেয়ে ভালো বিদায় আর কিইবা চাইতে পারতেন তিনি।

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দুটি উইকেট ফেলতে পঞ্চম ও শেষ দিনের সকালে শ্রীলঙ্কার এক ঘণ্টারও কম সময় লাগে।

আগের দিন পাকিস্তান ১২৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফল কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে কারো মনে সংশয় ছিল না। তবে সোমবার টেস্টের পঞ্চম দিন ভোরে হয়ে যাওয়া ভারী বৃষ্টি অন্যরকম একটা শঙ্কার কথা জানান দিচ্ছিল।

মেঘ কেটে যাওয়ার পর পাকিস্তানকে অলআউট করতে অবশ্য মাত্র ৪০ মিনিটই সময় নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে শতক করা সিরিজে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ (৫৫) দিনের দশম ওভারে ওয়েলেগেদারার বলে সাঙ্গাকারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

চোটের কারণে জুনায়েদ খান না থাকায় জয়ের প্রান্তে তখনই এসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে নিজের ১৪তম উইকেট নিয়ে সেই কাজটাই সারেন হেরাথ। সিরিজে ২৩ উইকেট তার। দুই টেস্টের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড এটি। আর তার ম্যাচে ১৮৪ রানে ১৪ উইকেট পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা কীর্তি।

ক্রিকেট বীর জয়াবর্ধনেকে বিজয়ী বিদায় জানাতে মাঠে আসে তার পরিবার। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে তাকে বিদায় জানাতে মাঠে আসেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে।

জয়াবর্ধনেকে কাঁধে নিয়ে যখন মাঠে চক্কর দেন সতীর্থরা। জয়োৎসব আর বিদায়ের সুর তখন মিলেমিশে একাকার।