নেটে ব্যাটিং করে ফেরার পথে সেই সেতুর ওপর একটু থমকে দাঁড়ালেন সাকিব আল হাসান। দেখলেন চারপাশ। “দেখেছেন কি দারুণ করে সাজানো!” কণ্ঠ শুনে পেছনে তাকালেন সাকিব। কথায় নয়, সায় দিলেন হাসিতে।
“৫ হাজার হতে কত রান লাগব জানেন?” এবার ছোট্ট করে মুখ খুললেন সাকিব, “জানি, ৩২।”
“৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল…?” শেষ হওয়ার আগেই কথা কেড়ে নিলেন সাকিব, “এটাও জানি, ৪ জনের আছে।”
এবার সত্যিই বিস্মিত হওয়ার পালা। পরিসংখ্যানে সাকিবের আগ্রহ খুব একটা ছিল না কখনোই। ৫ হাজার রান হতে ৩২ লাগে, এটা তবু জানা থাকতে পারে। কিন্তু ‘ডাবল’ আছে আর ৪ জনের, তাদের নামও জানা, বেশ অবাক করার মতোই!
হেলমেটের ফাঁক গলে সাকিবের মুখে দেখা গেল দুষ্টুমির হাসি, “সব আপনারাই জানবেন! ইংল্যান্ডের পথে হাঁটতে হাঁটতে জেনে গেছি আমি…।”
ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে সাকিবের সামনে দারুণ মাইলফলকের হাতছানি। ৩২ রান করলেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে স্পর্শ করবেন ৫ হাজার রান। বাংলাদেশে যেটি আছে কেবল আর তামিম ইকবালের।
তবে সাকিব মানে তো শুধু ব্যাটসম্যানই নন, বোলার সাকিবের আছে ২২৪ উইকেট। ৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের স্বাদ ওয়ানডে ইতিহাসে পেয়েছেন আর কেবল চার জন। সনাৎ জয়াসুরিয়া, জ্যাক ক্যালিস, শহিদ আফ্রিদি ও আব্দুল রাজ্জাক।
কত বড় অর্জন হবে এটি? নিশ্চয়ই রোমাঞ্চিত! ছোঁয়ার আগে রোমাঞ্চটা দেখাতে চাইলেন না সাকিব, “আগে হোক, দেখা যাবে তার পর।”
সেটিই হোক। সাকিবের রোমাঞ্চ আর অর্জনের বিশেষত্ব তোলা থাকুক মাইলফলক স্পর্শ করা পর্যন্ত!