চন্দিকা হাথুরুসিংহে শুনে হাসেন, “টেলএন্ডারদের আমি ব্যাটসম্যান বলি না। ব্যাটিং করার জন্য ওপরে ৭ জন আছে।”
একেক দিন একেক রুটিনে ব্যাটিং-বোলিং হয় নেটে। এ দিনের রুটিন ছিল এরকম। আসল কাজ যেটি, সেই বোলিংও দীর্ঘক্ষণ করেছেন চার পেসার। বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি চার পেসার। ভারতীয়দের আগ্রহও এই চারজনকে নিয়ে!
দু বছর আগে চার পেসারের যে বিপ্লব গড়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি, প্রয়োজনের সময় এখনও তার ফসল পায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে বড় অবদান ছিল চার পেসারের। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও বাঁচা-মরার ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে বড় অবদান চার পেসারের।
ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালেও চার পেসারকে নিয়ে গড়া হবে পেস আক্রমণ, এটা মোটামুটি ধরেই নেওয়া যায়। মঙ্গলবার বাংলাদেশের অনুশীলনে তাই চার পেসারের বোলিংয়ের ছবি, ভিডিও নেওয়ার হিড়িক ভারতীয় সংবাদকর্মীদের।
বাংলাদেশ কেচের সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নটি উঠল। ভারতের পেস আক্রমণ এখন দারুণ। ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ, উমেশ যাদবরা দারুণ স্কিলফুল। এবরের সেমি-ফাইনাল তাই দুই পেস আক্রমণের টক্কর।
যদিও সেই তুলনাতেই যেতে চান না চন্দিকা হাথুরুসিংহে। নিজের পেস আক্রমণ নিয়ে তার গর্বের শেষ নেই। বাংলাদেশ কোচ ধরে রাখতে চান নিজেদের গর্বের জায়গাটিই।
“আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে আমাদের বোলিং অমুক দলের চেয়ে ভালো। এটা বলতে পারি যে আমাদের পেস আক্রমণ বৈচিত্রময়। আমাদের চার পেসারের দিকে তাকালে দেখবেন, সবারই স্কিল আলাদা, শক্তির জায়গা ভিন্ন।”
“আমি সবসময়ই বলি, আমার দলের বোলাররা সবার সেরা। তবে তার মানে এই নয় যে অন্যদের বা ভারতকে খাটো করছি। ওদের বোলিং আক্রমণও দারুণ। বিশেষ করে কন্ডিশনের সহায়তা পেলে। তবে যেটা বললাম, আমাদের পেস আক্রমণ বৈচিত্রময়। সবারই স্কিল ভিন্ন ভিন্ন।”
এই স্কিলেরও বড় একটি পরীক্ষা সেমি-ফাইনালে। ভারতের পেস আক্রমণ দারুণ, তবে ভারতের ব্যাটিং তো আরও দারুণ। সেই ব্যাটিং লাইনআপের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে বাংলাদেশের চার পেসারের।