আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা বলছিলেন, সতীর্থদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়ে।
“উপরের দিকে দানুশকা গুনাথিলাকা, দিলশান মুনাবিরা, কুসল পেরেরা আছে। মাঝে আছে আসেলা গুনারত্নে, সিকুগে প্রসন্ন, চামারা কাপুগেদারা, থিসারা পেরেরা। আমাদের বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যান আছে। মাঠে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।”
চোটের জন্য নিরোশান ডিকভেলা নেই। তাতে শক্তির খুব একটা তারতম্য হয়নি। টি-টোয়েন্টি ঝড় তোলার সামর্থ্য আছে লঙ্কান প্রায় সব ব্যাটসম্যানের। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা নিজেই পারেন ডিকভেলার অভাব পূরণ করতে।
নিজেদের শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতেই হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই জয় থেকে দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে হারানোর আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন থারাঙ্গা।
“অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে সেরা দলগুলোর মাঝে আছে। আমরা এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে ভালো অবস্থায় আছি। এই সংস্করণে লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান কুলাসেকারা, থিসারা, কাপুগেদারা ফিরেছে। আমরা খুব ভালো, ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল।”
চোটের জন্য নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। এই অলরাউন্ডারের অভাব খুব অনুভব করবেন থারাঙ্গা।
“গত কয়েক বছর ধরে ও আমাদের সেরা ক্রিকেটার। ওর মতো কারো বিকল্প আমরা পাবো না। তবে ওকে ছাড়াও আমরা ভালো করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় আসেলার মতো খেলোয়াড়রা খুব ভালো করেছে। যে ভালো খেলবে সেই জিতবে, আর ওই দল আমরা হতে চাই।”