তবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনাও আছে মাশরাফির।
মঙ্গলবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলছিলেন শ্রীলঙ্কার মূল হুমকিদের নিয়ে।
“ওদের কয়েকজন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় আছে। লাসিথ মালিঙ্গা, চামারা কাপুগেদারা, দিলশান মুনাবিরা এসেছে। ওদের যে কেউ ম্যাচ নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন থিসারা পেরেরা। এই বিস্ফোরক অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে দুটি দারুণ অর্ধশতক।
কাপুগেদারা, মুনাবিরা বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই দুই জনের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাশরাফিদের। অধিনায়কের কাছে আরেক হুমকি অভিজ্ঞ পেসার নুয়ান কুলাসেকারা।
“কুলাসাকারা শুরুতে নির্ভর করে তার সুইংয়ের উপর। আমরা সবাই জানি মালিঙ্গা ইয়র্কার নির্ভর বোলিং করে।”
তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার জয়ে দারুণ অবদান রাখেন কুলাসেকারা।
মাশরাফি মনে করেন, এই দুই বোলারকে সামলাতে ব্যাটসম্যানদের আলাদা প্রস্তুতি জরুরি।
“একদিনের অনুশীলনে এতো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। আমার মনে হয়, মানসিক ভাবে যতটা মানিয়ে নেওয়া সম্ভব নিতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন বোলারের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা সাজাতে পারলে ব্যাটসম্যানদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।”
যে কোনো সময়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার আছে বলেই, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। ভারতে টেস্ট সিরিজ ছিল বলে হয়তো নিজেদের সেরা দল পায়নি অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ছিলেন প্রায় সবাই। সেই সিরিজ জয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি।
“এই দলটা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জায়গায় গিয়ে জিতে এসেছে। আমি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টাকে বড় করে দেখছি। কারণ, সেখানে গিয়ে এশিয়ার কোনো দলের জন্য জিতে আসাটা খুব কঠিন।”
“ওদের এই দল খুব ভালো করছে। তাদের আত্মবিশ্বাসটাও খুব ভালো আছে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে। আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে না।”
নিজেদের সেরা ক্রিকেট ছাড়া শ্রীলঙ্কা হারানো ভীষণ কঠিন হবে। সেটা নিজেও জানেন মাশরাফি, তাই সতীর্থদের নিজেদের উজাড় করে দিতে বলেছেন অধিনায়ক।