মুশফিকের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। তিনি জানান, মুশফিকের চোটটি ছিল মাথার নীচের অংশে ঘাড়ের দিকে। ঘাড়ে এক্স-রে করানো হয়েছে, তাতে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।
হাসপাতালে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর আরেক দফা দেখে মুশফিককে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা।
মুশফিক এই ম্যাচ খেলেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে শতভাগ না সেরেই। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংসের পথে চোট পেয়েছেন দুই হাতের দুটি আঙুলে। ফোলা আঙুল আর প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েও ব্যাট করতে নেমেছিলেন কেবল দলের প্রয়োজন বলেই। ম্যাচেও শঙ্কায় বাংলাদেশ। সব প্রতিকূলতার সঙ্গেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন চোয়ালবদ্ধ লড়াই। এসবের মধ্যেই নতুন চোটের ছোবল। হেলমেটে বলের আঘাতে ছাড়তে হয় মাঠ।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সেটি ৪৩তম ওভার। টিম সাউদি রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে বলটি করেছিলেন শরীর তাক করে। এবার বাউন্সটা ঠিকমত বুঝতে পারেননি মুশফিক। শেষ মুহূর্তে চোখ সরিয়ে নেন। বল আঘাত করে হেলমেটের পেছনের অংশে নীচের দিকে।
তখনই উইকেটে পড়ে যান মুশফিক। ছুটে আসে কিউই ফিল্ডাররা। বাংলাদেশের ফিজিও মাঠেই চিকিৎসা দেন কিছু্ক্ষণ। বাইরে থেকে উইকেটে ছুটে যান তামিম ইকবাল। বেশ কিছুক্ষণ পর অ্যাম্বুলেন্সে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় মুশফিককে।