সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিটাগং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারানোর পর নিজের এই পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেন বরিশাল বুলস অধিনায়ক মুশফিক।
“নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ তো অবশ্যই। এত দিন দেখলাম আবেগ প্রকাশ না করে কিছুই হয় না। তাই দেখলাম যে প্রকাশ করে ভালো কিছু হয় কী না।”
মাঠের পারফরম্যান্স বলছে কাজ হচ্ছে। দল বরিশাল উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ১৭৪ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন দুই নম্বরে। চার ম্যাচে মাত্র একবার আউট হওয়ায় গড়ও ১৭৪। বিপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন হাজার রান।
“দল জিতলে এক জন মানুষ স্বাভাবিক উদযাপন করে, সেখানে আবেগ থাকতেই পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পারফরম্যান্স ছাড়া দেওয়ার কিছু নেই আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি এবং সফল হচ্ছি। এ জন্য খুব ভালো লাগছে।”
এদিন মুশফিক যখন ক্রিজে আসেন তখন দলের প্রয়োজন ৬ বলে ৭ রান। শুভাশীষ রায়ের সেই ওভারে চার বলে ১০ রান নিয়ে দলকে এনে দেন দারুণ জয়। সেই সময়ে কী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের কথা মনে পড়েছিল তার?
“না, আমার মনে হয় নাই। এখনও বলি ওই ম্যাচে বল যে জায়গায় ছিল, আমি যদি খুব ভালো ফর্মে থাকতাম তাহলে ওইটা ছয়-ই হত। ক্রিকেটারের জীবনে এমন হতেই পারে।”
সেই ম্যাচে শেষ তিন বলে ২ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। পরের বলে তাকে অনুসরণ করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে রান আউট হন মুস্তাফিজুর রহমান। হাতের মুঠোয় নেওয়া ম্যাচ ১ রানে হেরে যায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
“তবে আজকে আমি অনেক শান্ত ছিলাম। আমি জানতাম কোন জায়গায় বল আসবে। আমার কাজ ছিল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। সেখানটায় আমি সফল ছিলাম। শেষ তিন ম্যাচ ভালো খেলার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো ছিল। অন্য প্রান্তে সেট ব্যাটসম্যান (ডেভিড মালান) থাকায় ভেবেছিলাম ১ রান নিলে ওই খেলা শেষ করতে পারবে।”