আমার ভুল ছিল: তামিম

ইনিংস জুড়ে খেলেছেন যিনি দারুণ সব শট, তার বিদায়ই হলো কিনা শট না খেলে! নিজের আউটের দিকে পেছন ফিরে তাকিয়ে তামিম ইকবালের উপলব্ধি, বড় ভুল করে ফেলেছিলেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2016, 01:17 PM
Updated : 28 Oct 2016, 02:47 PM

সকালে গুমোট আকাশের নিচে তামিমের শুরুটা ছিল সতর্ক। ২০ বল খেলে দেখা পেয়েছিলেন প্রথম রানের। তবে এরপর খেলেছেন অসাধারণ সব শট। ওয়ানডের গতিতে রান তুলে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ৬০ বলে। লাঞ্চের পর নিজের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ১৩৯ বলে। ৯৩ থেকে মইন আলিকে বেরিয়ে এসে দারুণ দুটি ইনসাইড আউটে বাউন্ডারিতে ছুঁয়েছেন শতরান।

খানিকপর সেই মইনেরই শিকার তামিম। রাউন্ড দ্য উইকেটে করা বল না খেলে ছেড়ে দিয়েছিলেন তামিম। আম্পায়ারের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত থেকে তাকে বাঁচাতে পারেনি রিভিউ।

আগের ওভারেও মইনের একটি বল না খেলে ছেড়ে দিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন তামিম। ছেড়ে দেওয়ার পর বল প্যাডে লেগেছিল আরেক দফায়ও। দুবার বাঁচলেও তৃতীয় দফায় রক্ষা হয়নি।

তামিম নিজেও বুঝতে পারছেন না, কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই বল। শুধু স্বীকার করে নিলেন নিজের ভুল।

“এটা তিন নম্বর বল যে আমি ওরকম ছেড়ে দিচ্ছিলাম। আমার ইচ্ছায় করছিলাম না, আসলে হয়ে যাচ্ছিল। যদি চট্টগ্রামের উইকেট দেখেন, ওখানে বল কিন্তু ঘুরছিল। ওই চিন্তা থেকেই হয়ত ছেড়েছিলাম। আমার ভুল ছিল। তবে যদি সোজা খেলতাম, যদি শট খেলতাম, তার পরও প্যাডে লাগলে আউট হতে পারতাম। কি বলব কোনো কিছু বলার নেই।”

মইনের টার্নিং ডেলিভারিগুলোর চেয়ে সোজা বা অ্যাঙ্গেলে ঢোকা বলগুলিই বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তামিমের পর মুমিনুল আউট হয়েছেন অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলে।

তামিমের কণ্ঠেও উঠে এলো এটি। তবে নিজেদের দায়টাও স্বীকার করে নিলেন আবারও।

“মুমিনুলের আউটটা যদি দেখেন, বল পড়ে ভেতরে ঢুকেছে। একই জায়গায় পড়ে আরেকটা আবার টার্ন করছে। খেলা তাই কঠিন। তার পরও, আমরা ৩০ ওভার ধরে ব্যাটিং করছিলাম, ওই বলগুলিকে আমরা আরও ভালোভাবে হ্যান্ডল করতে পারতাম।”