আবার ইংল্যান্ড, দুর্দান্ত তামিম

নব্বইয়ে নাকি নড়বড়ে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবালকে দেখে কে বলবে! মইন আলিকে দারুন এক ইনসাইড আউট বাউন্ডারিতে ৯৩ থেকে ৯৭, পরের বলেই হুবহু শটে তিন অঙ্কে! আবারও ইংল্যান্ড, তামিমের ব্যাটে আরও একটি সেঞ্চুরি।

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই অসাধারণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন তামিম। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডকে সামনে এগিয়ে নিলেন আরেক ধাপ।

তামিমের এটি অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। ৬টি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হয়ে দুইয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের এটি তৃতীয় শতক। ইংলিশদের বিপক্ষে ৬ টেস্টের প্রতিটিতেই অন্তত এক ইনিংসে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছেন তামিম। ১১ ইনিংসে ৩টি শতকের পাশে অর্ধশতক ৫টি। গড় ৬৩.২৭!

সকালে তামিমের শুরুটা ছিল দারুণ সতর্ক। তবে থিতু হওয়ার পর বেরিয়েছেন খোলস ছেড়ে, খেলেছেন দারুণ সব শট।

প্রথম রানের দেখা পেতেই লেগেছিল ২০ বল। সেখান থেকে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ৬০ বলে। এক পর্যায়ে ১২ বলের মধ্যে মেরেছেন ছয়টি চার!

অর্ধশতকের পরও এগিয়েছেন একই গতিতে। খেলেছেন দারুণ সব ড্রাইভ। স্পিনে পায়ের কাজ ছিল দুর্দান্ত। ইংলিশ পেসারদের শর্ট বল চোখের পলকে পুল করে পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে।

লাঞ্চের সময় অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। লাঞ্চের পর সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান দ্রুতই। মইনের বলে ওই টানা দুই বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি ১৩৯ বলে।

আউট হয়ে গেছেন অবশ্য সেঞ্চুরির পর পরই। দুর্দান্ত সব শটের ইনিংসটি শেষ হলো শট না খেলে। মইন আলির বলে এলবিডব্লিউ ১০৪ রানে।

মুমিনুল হকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ১৭০ রানের দারুণ জুটি। সেঞ্চুরিটা আরও বড় করতে পারেননি তামিম। তবে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন শক্ত ভিত।