ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে রেকর্ডটি এতদিন ছিল দুজনের যৌথভাবে। আফগানিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ৭ শতকে তামিম আপাতত শীর্ষে উঠে গেলেন এককভাবে।
টেস্টেও ৭টি সেঞ্চুরি নিয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশের শীর্ষে তামিম। টি-টেয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। এবার ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরির তালিকায় এককভাবে সবার ওপরে উঠলেন প্রথমবার।
২০১০ সালের অক্টোবরে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে সাকিব করেছিলেন তার পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তামিমের সেঞ্চুরি তখনও ৩টি। ২০১৪ সালের নভেম্বরে যখন সাকিব করেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, তামিমের সেঞ্চুরি তখন ৪টি। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তামিম ছুঁয়ে ফেলেন সাকিবকে; এবার গেলেন ছাড়িয়ে।
বাঁহাতি ওপেনার সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। পারেননি নিজের ভুলেই। ৮০ রান আউট হয়েছিলেন ছক্কা মারতে গিয়ে। শেষ ম্যাচে আর কাছাকাছি গিয়ে ভুলের পথে পা বাড়াননি।
একশ ছোঁয়ার ইনিংসটা অবশ্য শেষ হতে পারত এক রানেই। তৃতীয় ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তামিম। সহজতম সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে হাতছাড়া করেন আফগান অধিনায়ক আসগার স্তানিকজাই।
এরপর কিছুক্ষণ খেলেছেন দেখে শুনে। অষ্টম ওভারে মিরওয়াইশ আশরাফকে এক ওভারেই মারেন তিন চার। জড়তাটুকুও যেন মিলিয়ে যায় তাতে। এরপর খেলেছেন নিজের মতোই। অর্ধশতক স্পর্শ করেছিলেন ৬৩ বলে। ১০টি চারে ১১০ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরির পর যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন তামিম। রহমত শাহকে চার মারার পর টানা দুই বলে মারেন বিশাল দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত আউটও হয়েছেন ছক্কা মারতে গিয়েই। মোহাম্মদ নবির বলে ধরা পড়েছেন লং অফ সীমানায়। নামের পাশে তখন ১১৮ বলে ১১৮।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে ৭টি করে, টি-টোয়েন্টিতে একটি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে ১৫টি সেঞ্চুরি এখন তামিমের। ১০টি সেঞ্চুরিও নেই আর কারও। এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার ওয়ানডে রানের পথে।
প্রতিটি পরিসংখ্যানই বারবার জানান দেয়, ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সেরা তামিমই!