নতুন করে পুরানো আক্ষেপ মাশরাফির

মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যাটিং সামর্থ্যের কথা তাকে প্রায়ই মনে করিয়ে দেন সাকিব-তামিমসহ জাতীয় দলের সতীর্থরা। মাশরাফি নিজেও অনুভব করেন ভেতরের তাগিদ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 03:27 PM
Updated : 24 Nov 2015, 03:32 PM

বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রথম জয়ের নায়ক ব্যাটসম্যান মাশরাফি। মঙ্গলবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে নেমে ৩২ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করে জিতিয়েছেন দলকে।

আগের ম্যাচেও ২৫ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান ছিল মাশরাফির। মুস্তাফিজুর রহমানকে একটি ছক্কা মেরে বল ফেলেছিলেন গ্যালারির দ্বিতীয় তলায়। টুকটাক রান পেয়েছেন তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।

ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি শোনালেন তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে ড্রেসিং রুমের আলোচনা।

“সাকিব-তামিম, ড্রেসিং রুমের সবাই উপলব্ধি করে যে, আমি ব্যাট করতে পারি। আমি নিজেও অনুভব করি। ব্যাটিং অনুশীলন হয়ত অনেক সময় করি না। কিন্তু রান না পেলে খারাপ লাগে। তার মানে আমার ভেতর ওই অনুভূতিটা আছে। আর এই অনুভতি থাকা মানেই আমি এতটা খারাপ না। বিশেষ করে জাতীয় দলের হয়ে ব্যাটে কিছু করতে পারলে খুব ভাল লাগে।”

মাশরাফির ব্যাট হাতে ভালো করার দিনে প্রতিবারই মনে পড়ে পুরোনো এক আক্ষেপও। তার যা ব্যাটিং সামর্থ্য, তাতে সত্যিকারের এক অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিল ভালোমতোই। কিন্তু ক্যারিয়ার জুড়ে চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ব্যাটিংয়ে আর নজর দেওয়া হয়নি।

আক্ষেপটা আবারও উঠতেই মাশরাফি মনে করিয়ে দিলেন পুরোনো কথাগুলো।

“সামর্থ্য আমার অবশ্যই ছিল। হয়ত অজুহাত শোনাতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি যে চোটের কারণে পারিনি। যতবার ইনজুরিতে পড়েছি, ফেরার পর শুধু বোলিং নিয়েই ভেবেছি। কারণ জানতাম, বোলিং দিয়েই আমাকে জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।”

“৮-১০ মাস পুনবার্সন করতে হয়েছে, একটুও অনুশীলন করত পারিনি। আর বোলিং ব্যাপারটা এমন নয় যে এসেই ভালো করলাম। বোলিং শুরু করে আস্তে আস্তে ছন্দ পেতে হয়েছে। সেরা অবস্থায় আসতে আরও ৬ মাস লেগে গেছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এভাবেই হয়ে আসছে। ব্যাটিং করব কখন!”