জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছিল বাজে। প্রথম ওভারেই শাফাক আল জাবিরের বলে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল (০)। খানিক পর ফরহাদ রেজা নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালকে (৬)।
পরের ওভারে তাসামুল হকের (১) বিদায়ে চট্টগ্রামের স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ২৯। দলের বিপর্যয়ে ইয়াসির আলিকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। দুজন শুধু প্রতিরোধই গড়েননি, পাল্টা আক্রমণও করেছেন। চতুর্থ উইকেটে ২৫.৩ ওভারে ১২২ রানের জুটি গড়েন দুজন।
পঞ্চম উইকেটে দুই তরুণ ইয়াসির ও ইরফান শুক্কুর গড়েন ৯০ রানের জুটি। মুমিনুলের মত ইয়াসিরকেও সেঞ্চুরির খুব কাছে থামান তাইজুল, ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হন ১৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
শুক্কুর অবশ্য শতক ছুঁয়ে তবেই থেমেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় লিগের ম্যাচেই করেছিলেন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথম শতক। শনিবার পেলেন দ্বিতীয়টি (১০২)।
দিনশেষে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ বিকেলে দ্বিতীয় নতুন বলে জোড়া আঘাত হানেন রাজশাহীর বাঁহাতি পেসার শাফাক আল জাবির। তারপরও প্রথম দিনে ৮৮ ওভারে চট্টগ্রাম করেছে ৮ উইকেটে ৩৪৬।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৮৮ ওভারে ৩৪৬/৮ (তামিম ০, নাফিস ৬, মুমিনুল ৯০, তাসামুল ১, ইয়াসির ৯১, শুক্কুর ১০২, সাইফুদ্দিন ৪৬*, মেরাজুল ০, নাবিল ০, জুবায়ের ১*; শাফাক ১১-২-৪০-৩, ফরহাদ রেজা ১৬-৫-৩৫-১, মুকতার ১৪-৪-৫৬-২, তাইজুল ২১-২-৮৯-২, সানজামুল ১৪-১-৫৯-০, ফরহাদ হোসেন ৮-০-৩৫-০, সাব্বির ৪-০-২৩-০)।