‘মুস্তাফিজ সেই আগের মুস্তাফিজই আছে’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মৌসুমে মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়িয়ে গেছেন কল্পনার সীমানাও। ক’দিন আগের আনকোরা তরুণ এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের অমূল্য রত্ন। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল হয়ে আজকের পর্যায়ে আসলেন যেখান থেকে, মিরপুরের সেই বিসিবি একাডেমি ভবনে বসেই বৃহস্পতিবার একান্তে তিনি কথা বললেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2015, 03:25 PM
Updated : 7 August 2015, 09:25 AM

এক বছরের একটু আগে, এখানে এই সোফায় বসেই কথা হয়েছিল আপনার সঙ্গে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছিলেন, তাতেই আপনি আবেগে আপ্লুত ছিলেন। বছরখানেক পর এখন আপনার নাম ক্রিকেটবিশ্ব জুড়ে। কল্পনার সীমানাও কি এতটা ছিল?

মুস্তাফিজুর রহমান: নাহ…ওইসব তো ভাবা যায় না। সময়টা ভালো যাওয়া লাগে। আল্লাহ সময় ভালো দিয়েছেন, এজন্য ভালো যাচ্ছে সময়।

ক্রিকেটবিশ্ব এখন আপনাকে চেনে ‘কাটার মুস্তাফিজ’ নামে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এত দ্রুত নিজের একটা আলাদা পরিচয় গড়ে তোলা, বছরের পর বছর খেলেও এটা অনেকের হয় না। ভাবতে কেমন লাগে?

মুস্তাফিজ: আমি আসলে অত ভাবি না। সবসময় সামনে তাকাই। সামনে অন্তত ১০ বছর দলকে সার্ভিস দেব, এটাই আছে শুধু মাথায়।

ডেল স্টেইন সেদিন বললেন আপনার বোলিং দেখে শিখেছেন। বিশ্বজুড়ে আরও কত বড় বড় বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারের প্রশংসা…

মুস্তাফিজ: আমি আসলে ক্রিকেট খেলা অতটা দেখি না, অনেকের নামও জানি না। বড় বড় ক্রিকেটাররা প্রশংসা করলে ভালো লাগে। এই তো…জানি না আর কী বলব!

পেছনে যাওয়া যাক। আপনার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা নিয়ে অনেক লেখালেখি ও বলাবলি হয়েছে গত কিছুদিনে। তবু আপনার মুখ থেকে শোনা যাক…

মুস্তাফিজ: ছোট থেকেই দেখেছি বাসায় সবাই ক্রিকেট খেলা দেখত। বিশেষ করে আমার বাবা খুব ক্রিকেট দেখতেন। ওয়াসিম আকরামকে খুব পছন্দ করতেন আমার বাবা, সাঈদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফের ব্যাটিং পছন্দ করতেন। বাসায় সবাই খেলা দেখত। আমি অতটা দেখতাম না খেলা। তবে বাবা ডেকে ডেকে খেলা দেখাতেন। অনেক সময় ভোরে খেলা হতো, বাবা আমাদের সব ভাইকে ডেকে খেলা দেখাতেন।

নিজের খেলা কখন শুরু?

মুস্তাফিজ: ওই তো, আস্তে আস্তে খেলা শুরু করলাম। স্কুলের মাঠে তখন ফুটবল, ক্রিকেট সবই খেলতাম। ফাইভ স্টার বলে ক্রিকেটে খেলতাম। তখন ব্যাটিং করতাম, বেশি মারতে পারতাম না, তবে টিকে থাকতে পারতাম অনেকক্ষণ। আমরা চার ভাই-ই খেলতে খুব পছন্দ করতাম। এলাকার খেলা হলে আমরা দল নিতাম। জাতীয় দলে ঢোকার কিছুদিন আগেও আমরা ৩ ভাই এক সঙ্গে খেলেছি। টিভি কাপ খেলা হতো। দেখা যেতো ৩ হাজার টাকার টিভি পাওয়ার জন্য আমরা টুর্নামেন্টে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলতাম। সাতক্ষীরার সব ভালো ক্রিকেটারকে আমরা দলে নিতাম।

আমি তখনও টুর্নামেন্টে খেলতাম না। এলাকার ভালো ভালো ক্রিকেটাররা খেলত। আমি খেলা শুরুর আগে তাদের বল-টল করতাম। ভালো একজন ব্যাটসম্যান ছিল মিলন, তাকে বল করছিলাম। সে গিয়ে ভাইকে বলল, ‘তোমার ভাই তো ভালো বল করে!’ আমাকে বলে গেল, ‘সাতক্ষীরায় বয়সভিত্তিক খেলা-টেলা হলে ফোন দেব, চলে আসবা।’

সেই ডাক কবে এলো?

মুস্তাফিজ: কিছুদিন পরই। আমি তখন সাতক্ষীরা শহর চিনিই না। বয়সভিত্তিক খেলার সময় ডাক এলো। আমি গেলাম। দাঁত দেখল (বয়স পরীক্ষার জন্য), ট্রায়াল দিলাম। অনুর্ধ্ব-১৬ ছিল সেটি। সেই প্রথম ক্রিকেট বল চোখে দেখি। ৫১ জনকে নিয়েছিল ট্রায়ালে। পরে সেটা কমিয়ে আনা হলো ১৪ জনে। টিকে গেলাম। পরে জেলা টুর্নামেন্টে খেললাম। সেখান থেকে বিভাগীয় টুর্নামেন্টে।

সেই সময় কিন্তু আমার বোলিং এমন ছিল না। অনেক এলোমেলো ছিল। ‘রং ফুটেড’ ছিলাম, যে পা সামনে থাকার কথা, অন্য পা থাকত সামনে। বিভাগীয় টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারিনি। ৩ ম্যাচে মনে হয় একটি উইকেটও পাইনি। ফিল্ডিংয়ে পাশ দিয়ে বল চলে যেত, ধরতে পারতাম না। বিভাগীয় দলে থাকার সময়ই পরে বোলিং নিয়ে কাজ করলাম। ঢাকায় পেস ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পে ডাক পেলাম। ওই সময় অনুর্ধ্ব-১৯ দলেরও ক্যাম্প ছিল, তাসকিন ভাইরা ছিল। ওখানে নেটে বোলিং করলাম। তারপর তো আপনাদের জানাই। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল হয়ে এখানে।

বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন মনে গাঁথল কখন?

মুস্তাফিজ: বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৬ যখন খেলি; শেখ সালাউদ্দিন স্যারের (অকাল প্রয়াত সাবেক অফ স্পিনার ও কোচ) কথা এখানে বলতেই হবে। কোচ সবাই সমান, আমার কাছে সালাউদ্দিন স্যার তবু স্পেশাল। ল্যাপটপে স্যার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন, ভিডিও, এসব দেখাতেন। তখন মনে হতো, আমরা এমন জায়গায় কবে খেলব? ওই বছরই পেস ফাউন্ডেশনের ওই ক্যাম্প হলো।

জাতীয় দলের নেটে যখন বোলিং করতেন, তখন নিশ্চয়ই স্বপ্নের পরিধি আরও বেড়েছে?

মুস্তাফিজ: তখন আমি আসলে ভালোভাবে বুঝতেও পেরেছি। জাতীয় দলের নেটে যখন বোলিং করতাম, আমি তো সেই লেভেলের ছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করতাম অন্যদের মত বোলিং করতে। ভাবতাম নেটে ভালো কিছু করলে আমার সুযোগ আসতে পারে।

আপনি কি সহজাত বাঁহাতি?

মুস্তফিজ: সবসময়ই বাঁহাতি ছিলাম। সব কিছু বাঁ হাতে করতাম। এমনকি খাওয়া-দাওয়াও বাঁ হাতে করতাম। আমার মা পরে সেটা সারিয়েছেন (হাসি)।

একটি সংবাদ সম্মেলনে আপনি বলেছিলেন, এনামুল হকের কথায় কাটার শিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এর আগে কি এই ডেলিভারি সম্পর্কে ধারণা ছিল না?

মুস্তাফিজ: সেভাবে জানতাম না আসলেই। নেটে বিজয় (এনামুল) ভাই যখন বললেন, স্লোয়ার পারি কিনা, এরপরই চেষ্টা করতে গেলাম প্রথম। স্লোয়ারের মতো করে ছাড়লাম বল, দেখি টার্ন করলো। বিজয় ভাই আউটও হয়েছিল, যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কারণ বিজয় ভাই আউট হওয়ার পরই আমার মনে হয়েছিল এটা ভালো করে শিখতে হবে।

কাটারেও আপনি বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন, আস্তে একটি, আরেকটি একটু গতিময়..

মুস্তাফিজ: হ্যাঁ, আমি দুটি কাটার করি। একটা একটু জোরে, ১৩০ কিমির আশেপাশে থাকে। আরেকটা ১২০ কিমির আশেপাশে। দুইটাই দারুণ কাজে লাগে (হাসি)।

ক্যারিয়ারের প্রথম মৌসুমে যতগুলো উইকেট পেলেন, কার উইকেট সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন?

মুস্তাফিজ: সবচেয়ে মজা লেগেছে আফ্রিদির উইকেট (অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে)। যদিও বলটা ব্যাটে লাগেনি, তবু এটাই সেরা। আফ্রিদি বুঝতেও পারেনি। ওই উইকেটেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি।

আউট করার আগে আফ্রিদি ছক্কা মেরেছিল আপনাকে। ভড়কে যাননি? কিংবা পরে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার এত বড় বড় ব্যাটসম্যান, ভয় লাগেনি?

মুস্তাফিজ: একটুও না। আমি ছোট থেকেই যেখানে যত জায়গায় খেলেছি, ব্যাটসম্যান কে, এটা নিয়ে ভাবি না। এটা আমার ন্যাচারাল গুণ। সামনে কে দাঁড়িয়ে, এটা ভাবি না। শুধু নিজের বোলিং নিয়েই ভাবি। মাঠে নামলে আর কিছু ভাবি না।

অভিষেকের সময়ও নার্ভাস লাগেনি?

মুস্তাফিজ: টি-টোয়েন্টির সময় না। তবে ওয়ানডে অভিষেকের সময় লাগছিল। ওয়ার্ম-আপ করার সময় যখন নামছি, তখন একটু ভয় পেয়েছিলাম। এত দর্শক, উত্তেজনা। রাজু ভাই (আবুল হাসান) ছিল ড্রেসিং রুমে, বললাম, ‘রাজু ভাই, চলেন আমার সাথে মাঠে, আমার ভয় লাগতেছে।’ ওই প্রথম মনে হয় জীবনে নার্ভাস লাগছিল। তবে খেলা শুরুর পর সব ভয় উড়ে গেছে।

অভিষেকের কথা আপনি কখন জানতে পেরেছিলেন? বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানি, আপনার খেলার কথা ছিল না। অধিনায়ক মাশরাফি একরকম জেদ করেছিলেন আপনাকে খেলাবেনই। শেষ মুহূর্তে আপনাকে নেওয়া হয়…

মুস্তাফিজ: আগের দিন আমাকে বলেছিল যে, খেলার একটা চান্স আছে। পরদিন ওয়ার্ম আপের সময়, আমাকে বলা হলো রান আপ মাপতে। তখন বুঝলাম হয়তো খেলছি। পরে কোচ এসে বলল, ‘তুমি খেলছো।’ আমার সমস্যা হয়নি, কারণ খেলাক বা না খেলাক, আমি সবসময়ই প্রস্তুত থাকি।

অভিষেকের বোলিং দিয়ে তো একটা ফোন জিতেছিলেন?

মুস্তাফিজ: (হাসি) একটা ভালো ফোন দরকার ছিল। বিদেশে থাকা মামাকে বলেছিলাম পাঠাতে। মামা বলেছিলেন, ‘যদি খেলার সুযোগ পাও, ৩ উইকেট পেলে ফোন পাবে।’ পেলাম তো ৫টি। সেই ফোন হাতে পেয়েছি দুই দিন হলো, আইফোন সিক্স প্লাস।

শোনা যায়, টেস্ট দলে ডাক পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন!

মুস্তাফিজ: হ্যাঁ, আমার তো ওয়ানডে শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। টিকিটও কাটা হয়েছিল। আমাদের সাতক্ষীরারই ছেলে সৌম্যকে মজা করে বলছিলাম যে, ‘এই যে টিকেট, বাড়ি যাচ্ছি।’ সেই টিকেট ব্যাগে ছিলই, সেদিন হোটেল ছাড়ার সময় ফেলে দিলাম।

টেস্টেও প্রথম স্পেল ভালো হয়নি, পরে এক ওভারে ৩ উইকেট নিলেন…

মুস্তাফিজ: আমি আসলে সবসময়ই পুরোনো বলে একটু বেশি ভালো বোলিং করি। এমনিতে টেস্টের সময় সব পেসারই বাইরে যেতে চায়। মেশিন তো আর না যে তেল দিলেই চলবে! তবে আমি বাইরে যেতে চাই না। আমার মাঠে থাকতেই ভালো লাগে, যত কষ্ট হোক। সেদিনও ছিলাম। হাশিম আমলার উইকেট পাওয়ার পর একটা জোশ চলে আসে ভেতরে। আর নতুন ব্যাটসম্যানকে আমি সবসময়ই উইকেট টু উইকেট বল করতে চাই। সেটাই চেষ্টা করেছি। কোন একজন বোলার যেন বলেছিলেন ‘দিনের প্রথম আর শেষ বল অবশ্যই স্টাম্পে করা উচিত।’ আমি সেটা সবসময় মনে রাখি। দুমিনি আর ডি ককের উইকেট সেভাবেই এসেছিল।

মাশরাফি এত বছর ধরে নতুন বলে বোলিং করল, কিন্তু এখন আপনাকে ছেড়ে দিয়েছে। কেমন লাগে এটা ভাবতে? কেমন সম্পর্ক অধিনায়কের সঙ্গে?

মুস্তাফিজ: শুধু মাশরাফি ভাই না, সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক। দলের সবচেয়ে জুনিয়র তো, অন্যরকম করে দেখে। আমি এমনিতে সবসময় ভাইদের কাছ থেকে শুনি। সাকিব ভাইয়ের সাথে আগে এত সম্পর্ক ছিল না। এখন ভালো সম্পর্ক। সবার কাছ থেকেই শুনি কি করলে কেমন হয়।

যতগুলি উইকেট পেলেন, মনে আছে সবকটা?

মুস্তাফিজ: নাহ, মনে নেই। যেটা যায়, সেটা নিয়ে আমি আসলে ভাবি না। সামনে তাকাই। যখন খারাপ সময় আসবে, তখন হয়তো এসব দেখে অনুপ্রেরণা নেব। এখন দৃষ্টি সামনে।

স্লেজিং করেন?

মুস্তাফিজ: করি না। স্লেজিং ভালো লাগে না। অনেকে বলে পেস বোলার হলে এসব করতে হয়। কিন্তু আমার ভালো লাগে না। ব্যাটসম্যান তার কাজ করবে, আমি আমার কাজ।

ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় যখন রক্তচক্ষু দেখায়, তখন?

মুস্তাফিজ: আমি তো উল্টো ঘুরে চলে আসি। নিজের মতই থাকি। বিরাট কোহলি যেমন একটা চার মেরে আমাকে বলল, ‘এত আস্তে বল কর কেন?’ আমি কিছু বলিনি। বোলিং দিয়েই জবাব দেওয়া যায়। কোহলির উইকেট পাইনি। পেলে ভালো হতো।

এখন তো আপনার বোলিং নিয়ে অনেকেই গবেষণা করবে। খেলার উপায় বের করবে। আপনি এই চ্যালেঞ্জের জন্য কতটা প্রস্তুত?

মুস্তাফিজ: আমিও তো আরও শিখব। এখন কাটার ভালো। আরও অনেক কিছু শিখতে হবে। ভেতরে বল ঢোকানো শিখতে হবে। গত পুরো মৌসুমে আমি নতুন কাজ বলতে গেলে করতে পারিনি। প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগ, বিসিএল, জাতীয় দল সব মিলিয়ে শুধু ম্যাচের ওপরই ছিলাম। একটা বিরতি থাকলে বাড়তি কাজ করা যায়। এখন আমার বেশি প্রয়োজন বল ভেতরে আনা শেখা। সব ব্যাটসম্যানই ভেতরে ঢোকা বলে দুর্বল। ওটাই বাঁহাতি পেসারের মূল অস্ত্র সাধারণত। এই বিরতিতে আশা করি, ওটা নিয়ে কাজ করব।

গতি বাড়ানো আর পেশি ও শরীর আরও সুগঠিত করা?

মুস্তাফিজ: সবই আছে মাথায়। জিম-টিম ঠিকমত করলে আশা করি হবে। আমাকে যে রুটিন দেওয়া হয়, সব ঠিকমত করি।

বাড়ি যান না কতদিন?

মুস্তাফিজ: অনেক দিন। মাঝে বাবা-মা এসেছিলেন দেখা হয়েছে। শনিবার যাব বাড়ি। শুনলাম যশোর এয়ারপোর্টে অনেকেই থাকবে আমার এলাকার, আমাকে নিয়ে যাবে। বাড়িতে গিয়ে ১০-১২ দিন থাকব।

বরণ করে নেওয়া হবে, আপনার জগত বদলে গেছে। সবশেষ বাড়ি থেকে যে মুস্তাফিজ এসেছিল, কয়েক মাস পর বাড়ি ফিরছে অন্য মুস্তাফিজ?

মুস্তাফিজ: কিছুই বদলায়নি। মুস্তাফিজ আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে। মুস্তাফিজ সেই আগের মুস্তাফিজই আছে। এলাকায় বা এখানে বন্ধু বা অন্যদের সঙ্গে যেভাবে মিশতাম, কথা বলতাম, এখনও তেমনই আছি।

এত তারকা খ্যাতির মাঝে ভবিষ্যতে থাকতে পারবেন এমন?

মুস্তাফিজ: আমার কাছে মনে হচ্ছে না এমন থাকা খুব কঠিন। অন্তত ১০ বছর খেলতে চাই। খেলতে থাকলে অনেক কিছুই হবে। কিন্তু আমি যেমন আছি, মানুষ হিসেবে এমনই থাকতে চাই।