ক্লার্ক সমালোচকদের উদ্দেশ করে বলেন, কেউ হয়ত তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন; কিন্তু ভালো করার স্পৃহা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর।
৩৪ বছর বয়সী ক্লার্ক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম তিন টেস্টের ছয় ইনিংসে ১৫.৬৭ গড়ে ৯৪ রান করেন। গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেইডে ১২৮ রান করার পর টেস্টে আর কোনো শতক পাননি তিনি।
৪৯.৭৩ গড়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৮ হাজার ৬০৫ রান করা ক্লার্কের শতক ২৮টি। ক্যারিয়ারের এই অর্জনের সঙ্গে বর্তমান সময়ে তার বাজে পারফরম্যান্স একটু বেমানানই।
“আমি মনে করি, কেউ বলেছে, তারা আমার চোখে দেখতে পারে-এই সিরিজের পর আমার শেষ। এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা।”
এই সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে চার নম্বরে ব্যাট করা ক্লার্কের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৩৮ রানের। পরের টেস্টে ব্যাটিং অর্ডারে তিনি নিচে নেমে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি দল থেকে তিনি বাদও পড়তে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অবশ্য মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পাওয়ার মতো ভালো অবস্থায় এখনও আছেন তিনি। ভালো একটা শুরুকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে তার শুধু একটু ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্লার্ক।
“লর্ডসে আমি দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করি (ক্লার্ক তখন ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন) এবং এর মতো আরেকটা ইনিংস প্রয়োজন আমার।”
২০০৪ সালে অভিষেক টেস্টেই ১৫১ রানের ইনিংস খেলা ক্লার্ক জানান, এখনও তার ভালো করার আত্মবিশ্বাস আছে। ভালো করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সমালোচকরা তার ভালো করার স্পৃহা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় একটু যেন কষ্টই পেয়েছেন ক্লার্ক।
ক্লার্ক এরপর যোগ করেন, “আমি সব সময়ই বিশ্বাস করে এসেছি, আপনি যত কঠোর পরিশ্রম করবেন, তত বেশি ভাগ্যবান হবেন। আর আমার বয়স যত বেড়েছে, আমি তত বেশি কঠোর পরিশ্রম করেছি।”
এই বয়সেও সবার আগে অনুশীলনে এসে সবার শেষে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন ক্লার্ক। সবশেষে নিজের একটি ইচ্ছার কথা জানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
“ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমার বয়স ৩৪ বছর, ৩৭ নয়। আর এই সিরিজের পরও আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে যেতে চাই।”
নটিংহ্যামে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার। তিন ম্যাচ শেষে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড।