ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে বাংলাদেশের লাভ: তোফায়েল

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও তাতে বাংলাদেশের লাভ হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 10:07 AM
Updated : 7 July 2015, 01:53 PM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সদস্য এনামুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যক বৈষম্যে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং এতে আমাদের লাভ হয়।”

তবে সংসদে এই বক্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি তোফায়েল।

“ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে সমান করা সম্ভব নয়।”

২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম জুলাই-মার্চ সময়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে চারশ কোটি ডলারেরও বেশি।

এসময়ে ভারত থেকে ৪৪৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। বিপরীতে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৯ কোটি ডলারের পণ্য।

ফাইল ছবি

 

১৭৪টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয়

জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি রমজান ও পবিত্র ঈদ সামনে রেখে পরিবেশকদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীতে ২৫টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০টি, অন্য বিভাগীয় শহরে ৫টি করে ২৫টি এবং অবশিষ্ট ৫৭টি জেলা শহরে প্রতিটিতে ২টি করে ১১৪টি খোলা ভ্রাম্যমান ট্রাকে টিসিবির পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে, যা  ১৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

১২৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে মে ২০১৫ পর্যন্ত প্রায় ১৪০টি দেশে ১২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে।

মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

১৯টি বর্ডার হাটের পরিকল্পনা

মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাটের বাণিজ্য খুবই প্রসার লাভ করেছে। বর্তমানে ৪টি বর্ডার হাটের কার্যক্রম চলছে। ১৯টি বর্ডার হাট চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্ডার হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন শাক-সবজি, খাদ্য, ফলমূল, মসলা, বাঁশ ও বেতের তৈরি হস্তশিল্প পণ্য, গামছা, লুঙ্গি, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত পণ্য বিক্রি করা হয়।

মন্ত্রী দাবি করেন, বর্ডার হাটের মাধ্যমে সীমান্তে অবৈধ বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

দুই দেশের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বর্ডার হাট থেকে কোনো পক্ষের রাজস্ব আয়ের সুযোগ নেই বলেও মন্ত্রী জানান।