শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাভিয়েশন ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) আয়োজনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
“প্রধানমন্ত্রীঘোষিত পর্যটন বর্ষ-২০১৬ বাস্তবায়নে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন করা হবে। এতে সাতটি দেশের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।”
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পর্যটন বর্ষকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে জানিয়ে মেনন বলেন, “কুয়াকাটা যেতে যে তিনটি সেতু পার হতে হয়। সেগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।
“পর্যটন উপযোগী পরিবেশের জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করি, ২০১৬-তে আমরা একটা ব্রেক-থ্রু আনতে পারবো।”
পর্যটক আকৃষ্ট করতে ৬০টি দেশের নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামী বাজেটে ট্যুর অপারেটরদের জন্য প্রণোদনা ও শুল্কবিহীন ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির ব্যবস্থা রাখতে পর্যটনমন্ত্রীকে এসময় অনুরোধ জানান বেসামরিক বিমান পরিবহস ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ফারুক খান।
তিনি বলেন, “ইনবাউন্ড ট্যুর যারা অপারেট করেন, তাদের আয়ের উপরে একটি প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। একই সাথে হোটেল ও রিসোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করতে হবে।”
পর্যটন খাতে পিপিপির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ ও নীতিগত সুবিধা নিশ্চিত করারও আবেদন জানান তিনি।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরো অংশ নেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান কবির, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম সানাউল হক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক নাসির উদ্দীন ও টোয়াবের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল ইসলাম বুলু।