চট্টগ্রামের পটিয়ার ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে নিউ জিল্যান্ডের টোকেলাউ প্রদেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে এ জাহাজ। এর নাম রাখা হয়েছে মাওরি ভাষায় জাহাজের পথপ্রদর্শক নক্ষত্রের নামে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, এমভি মাটালিকি হবে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের তৈরি প্রথম জাহাজ।
টোকেলাউ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আগে বৃহস্পতিবার এমভি মাটালিকির প্রাক-উদ্বোধনীতে এ জাহাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজ শিল্প এর মধ্যে অন্যতম।”
তিনি বলেন, নিউ জিল্যান্ডের জন্য তৈরি এ জাহাজটি হবে বিদেশে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশের চতুর্দশ জাহাজ।
নিউ জিল্যান্ডের টোকেলাউ প্রদেশের পরিবহন মন্ত্রী আয়োটানা গলওয়ে ও’ব্রায়ান ও নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক কারিগরী বিশেষজ্ঞ হ্যারি স্ট্রোনাক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ও’ব্রায়ান বলেন, “টোকেলাউ নিউ জিল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। মূল জনপদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ নির্মাণে আমরা বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছি। ”
এমভি মাটালিকি আগামী মে মাসের শুরুর দিকে নিউ জিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৪৩ মিটার দীর্ঘ এ নৌযান ৬০ জন যাত্রী ও ৫০ টন মালামাল বহনে সক্ষম।