এবার মোটর শোতে থাকছে বাইকও

আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দশম নিটল-নিলয় ঢাকা মোটর শো।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2015, 06:27 PM
Updated : 1 April 2015, 06:27 PM

তিন দিনব্যাপী এ মোটর শো আয়োজন করেছে প্রদর্শনী আয়োজক প্রতিষ্ঠান(ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) সেমস গ্লোবাল-কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড ও সেমস বাংলাদেশ।

রাজধানীর জোয়ার সাহারার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে আয়োজিত এবারের মোটর শোতে অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে ‘ঢাকা বাইক শো’।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মোটর শো উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেমস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুন এন ইসলাম।

এসময় আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ, সেমস গ্লোবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ সারওয়ার, সিনিয়র ম্যানেজার(বিপনন) আবু নাঈম মো. শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরুন ইসলাম বলেন, “বরাবরের মতো এবারের শোতেও বাংলাদেশি ও বিশ্ব অটো মোবাইল খাতগুলোতে আলোকপাত করা হবে। এর ফলে অটোমোবাইল খাতের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।”

এবারের শো’তে ৪০০টিরও বেশি স্টলে দেশি-বিদেশি নির্মাতা ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের গাড়ি, মোটর সাইকেল, লুব্রিকেন্টসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও যন্ত্র প্রদর্শন করবেন বলে জানান তিনি।

মেহেরুন ইসলাম বলেন, “এবারের শোতে অতিরিক্ত সংযোজন ‘ঢাকা বাইক শো’। মোটর সাইকেল বিক্রি বাড়ানোর জন্য এ শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মোটরসাইকেল, যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক উপকরণ প্রদর্শন করা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের প্রদর্শনীতে মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, কোরিয়াসহ ১৪টি দেশের মোটর খাতের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বনানী থেকে জোয়ার সাহারা যাওয়ার জন্য প্রদর্শনীর পক্ষ থেকে ৫টি বাস ও ৩০টি টেম্পু থাকবে।  

সেমস বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার(বিপণন) আবু নাঈম মো. শরীফ বলেন, মোটর শোতে টাটা গাড়ি প্রদর্শনের জন্য নিটল-নিলয় গ্রুপ এবং টয়োটা গাড়ি প্রদর্শনের জন্য নাভানা ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছে।

এছাড়া হিরো, বাজাজ ও টিভিএস মটর সাইকেল প্রদর্শনের জন্য স্থানীয় সরবরাহকারীরা নিবন্ধন করেছেন।

মাতলুব আহমেদ বলেন, “ভারতের লোকেরা ১ লাখ বা ৫০ হাজার রুপিতে মোটর বাইক কিনতে পারছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে না। কেন হচ্ছে সেই বাধাগুলো দূর করতে হবে। বর্তমানে তৈরি গাড়ি আমদানিতে যে হারে শুল্ক দিতে হয়, পার্টস আমদানি করলেও সেই একই হারে শুল্ক দিতে হয়। ফলে উদ্যোক্তারা এ খাতে আগ্রহী হচ্ছে না। আমরা চাই এক্ষেত্রে সরকার একটা পদক্ষেপ নিক। তাহলে দেশে কম দামে মোটর সাইকেল বিক্রি করা যাবে।”