বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় গরু আসা কমে যাওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। হরতাল-অবরোধও অন্যতম কারণ।
বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে গরুর মাংস মিলছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
কয়েকজন গরুর মাংসের বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় গরু আসা কমে যাওয়ায় বাজারে গরুর সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া গত তিন মাস ধরে চলা টানা অবরোধ-হরতালের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু পরিবহনের ট্রাক ভাড়া বেড়েছে। সেজন্য গরুর দাম বেড়েছে।
মুগদা বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বছরের শুরুতেও ২৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। এরপর ৬ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ-হরতাল শুরু হলে ধীরে ধীরে গরুর দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর ভারত থেকেও গরু আসা কমেছে।”
গরম শুরু হলে মাংসের চাহিদার পাশাপাশি দাম কমে যায়, কিন্তু এবছর উল্টো চিত্র দেখা যোচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)তথ্য মতে, এক বছরের ব্যবধানে এই মাংসের দাম ২২ শতাংশ বেড়েছে।
ভারত থেকে আসা গরুর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় হাট যশোরের শার্শা থানার সীমান্তবর্তী এলাকা পুটখালী।
সেখানকার ব্যবসায়ী জামাল হোসেন ও সোলেমান এ বিষয়ে বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে জানান, প্রায় তিনমাস ধরে ভারত থেকে কোন গরু আসছে না। ভারতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গরু আসার হার কমে গেছে বলেও দাবি করেন তারা।
তারা জানান, ল্লি বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে গরু আসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসব গরু আসে তার অধিকাংশ মহারাষ্ট্র থেকে আসে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, সারা বছরে দেশের বাজারগুলো থেকে ৬৫-৭০ লাখ পিস গরুর চামড়া সংগ্রহ হয়। এরমধ্যে কোরবানি ও রোজার ঈদের সময় সংগ্রহ হয় অর্ধেক বা তার কিছু বেশি। বাকি চামড়া সারা বছর ধরে সংগ্রহ হয়।
এই মোট চামড়ার অর্ধেকের বেশি ভারতীয় গরুর চামড়া বলে জানিয়েছেন ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।