মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে বিদ্যুত খাতে যেসব প্রকল্প শেষ হয়েছে তাতে পাঁচ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। যেসব প্রকল্প নির্মাণাধীন সেগুলোতে আট দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে। আর প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পগুলোতে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে।”
আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল অঙ্কের এই বিনিয়োগের মধ্যে অর্ধেকের মতো বিদেশি বিনিয়োগ হবে বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আলোকিত বাংলাদেশ: বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা তৌফিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় অনেকেই অর্থের জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু আমরা পাঁচ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি করেছি।”
শুরুতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গত পাঁচ বছরের ‘অগ্রগতির’ চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে দেশের ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালের জুনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪টিতে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হয় ১০ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট।
আগামী পাঁচ বছরে আরো প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক সুব্রত।
তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১৯ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
“গত পাঁচ বছরে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার ২২০ ইউনিট থেকে ৩৪৮ ইউনিটে পৌঁছেছে। আবার একই সময়ে সিস্টেম লস ১৬ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।”
গত পাঁচ বছরে জ্বালানি খাতে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুৎ খাতে ‘সাফল্যের’ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “আগে দেশে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। কিন্তু এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে।
“মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বিদ্যুতের হাব হবে। সেখানে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইকনোমিক জোন হবে, বন্দর হবে।”
২০২১ সালের মধ্যে মহেশখালী ঘিরে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।