অগ্রণী ব্যাংকে হলমার্কের মতো কোনো ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সব সময় সতর্ক থাকার আশ্বাস দিয়েছেন নতুন চেয়ারম্যান জায়েদ বখত।
Published : 17 Nov 2014, 09:18 PM
হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়ার পর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই অর্থনীতি গবেষক সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার বিকেলে আমাকে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণ করবো।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর কোন বিষয়টিকে বেশি জোর দেবেন- এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক বলেন, “সবার আগে আমি ইন্টারনাল অডিটের (অভ্যন্তরীণ নিরিক্ষা) উপর বিশেষ গুরুত্ব দেব। আমি মনে করি, আমাদের ব্যাংক খাতে যে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে তা ইন্টারনাল অডিটের দুর্বলতার কারণেই ঘটে থাকে।
“সে কারণেই আমি এই বিষয়টিকে জোর দিতে চাই। আমার সময়ে হলমার্কের মতো কোনো ঘটনা যাতে কোনো অবস্থাতেই না ঘটে সেজন্য শুরু থেকেই আমি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অডিটের উপর বিশেষ নজর দিতে বলবো।
“কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে ব্যাংক থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে সেজন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদও সতর্ক থাকবে।
“আমাদের সবার একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি আমাদের ব্যাংক খাতের সুনাম অনেকটা ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে জায়েদ বখতকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে সোমবার জায়েদ বখতকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ বখত আরও বলেন, “আমাদের ব্যাংকিং খাতে অন্যতম প্রধান সমম্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। যদিও অগ্রণী ব্যাংকে অন্য সব সরকারি ব্যাংকের চেয়ে খেলাপি ঋণ কম; তারপরও আরও কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
“একই সঙ্গে নতুন ঋণ যাতে খেলাপি না হয় এবং আইন বা নিয়মের বাইরে যাতে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ না পায় সে ব্যাপারেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।
সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের চার হাজার ১৮৫ কোটি টাকা।
তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) এই চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক হাজার ৭৮ কোটি টাকা।