চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, রোববার সন্ধ্যায় এ জেলায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে।
হঠাৎ ঝরে পড়া বিপুল পরিমাণ কাঁচা আম সরবরাহের প্রস্তুতি না থাকায় হাটে-বাজারে প্রতিমণ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ জেলায় ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর আমবাগান রয়েছে। এর মধ্যে ঝড় হয়েছে ১৭ হাজার হেক্টরের ওপর দিয়ে।
“সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর আমবাগানের মধ্যে ১২ হাজার হেক্টরই ঝড়ের কবলে পড়ে।”
শিবগঞ্জের খামারি প্রকাশ চন্দ্র দাস বলেন, “যারা বাগান কিনেছিলেন, লাভের বদলে এবার তাদের লোকসান গুনতে হবে।”
একই উপজেলার হরিনগর গ্রামের খামারি ভঞ্জন চন্দ্র দাসের প্রায় ৫০ বিঘা আমবাগান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রোববারের ঝড়ে আমার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে।”
রাজশাহীতে ঝরেছে ৪ শতাংশ
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলছেন, বোরবারের ঝড়ে রাজশাহীতে আনুমানিক ৪ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে।
“ছোট গাছগুলোয় ২ থেকে ৩ শতাংশ আর বড় গাছের ৪ থেকে ৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। বাঘা ও চারঘাট এলাকায় ক্ষতি হয়েছে বেশি।”
সব এলাকায় ক্ষতি না হলেও কারও কারও ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
চারঘাট উপজেলার সারদা গ্রামের বাগানমালিক জাহাঙ্গীর আলমের ধারণা, তার বাগানের ১৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে।
এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
রাজশাহীতে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে সোয়া লাখ আমগাছ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা দেব দুলাল।
তিনি বলেন, এবার রাজশাহীতে দুই লাখ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছর হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিকটন।
গত বছর রাজশাহী থেকে ৩০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি করা হয় বলেও তিনি জানান।