আটটি ভিন্ন খাতে অ্যাপস বানিয়ে আইসিটি ডিভিশনের জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার পেল ১৬ উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান।
Published : 04 May 2017, 04:20 PM
গভর্নমেন্ট পার্টিসিপেশন, মিডিয়া অ্যান্ড নিউজ, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ স্টাইল, লার্নিং অ্যান্ড এডুকেশন, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ, ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার, ইনক্লুশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট, বিজনেস অ্যান্ড কমার্স- এ আট ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় পুরস্কার।
এবারের আসরের বিজয়ীরা সরাসরি অংশ নেবে ওয়ার্ল্ড সামিট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতায়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ আয়োজনে সহযোগিতা করে গুগল ডেভেলপার গ্রুপ সোনারগাঁও এবং গুগল ডেভেলপার গ্রুপ বাংলা।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান নির্মিত সেরা মোবাইল কনটেন্ট ও উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের প্রাপ্য স্বীকৃতি প্রদানই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের প্রতিযোগিতায় আটি ক্যাটাগরিতে জমা পড়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের তিন শতাধিক অ্যাপস। সেখান থেকে সেরা ১৬টি অ্যাপস নির্বাচন করা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “লোকাল মার্কেটের ডিমান্ড ফুলফিল করার পরে আমাদের এখন গ্লোবাল মার্কেট থেকেও ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। হিউমেন ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আমাদের এখন সেই প্র্যাকটিস শুরু করতে হবে।”
২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ মোবাইল অ্যাপস থেকেই আসবে বলে আশা করছেন পলক।
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধনশীল বাজারের চাহিদার বিষয়টি উল্লেখ করে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, “সেদিন আর বেশি দূরে নয়, তথ্যপ্রযুক্তিই হবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি। প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়নের জন্য এখনই সময়, অ্যাপসের মার্কেট আমাদের ধরতে হবে।”
এবার ‘গভর্নমেন্ট পার্টিসিপেশন’ শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এনামেল বিডির ‘ভ্যাট চেকার’, রানার আপ সেইভ দ্য চিলড্রেনের ‘প্রাইমারি স্কুল মনিটরিং’। ‘মিডিয়া অ্যান্ড নিউজ’ শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওসামা বিন নূরের ‘ইয়ুথ অপুরচুনিটিস’ অ্যাপস, রানার আপ ‘অডাসিটি’র ‘হাউ আই ওয়ার্ক’ অ্যাপস।
‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ’ শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জলপাই টেকনোলজিস লিমিটেডের ‘জলপাই’, রানার আপ হয়েছে উইন্ডমিল ইনফোটেক লিমিটেডের ‘বেবিটিকা’। ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার’ শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অ্যাপোনোমেট্রি লিমিটেডের ‘নৌকা বাইচ’, রানার আপ রেজওয়ানুল আলমের ‘পথ দেখুন’।
‘ইনক্লুশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ শাখায় চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার জিতেছে সেইভ দ্য চিলড্রেনের ‘কলরব’ অ্যাপস, রানার আপ এইমস ল্যাবের ‘অটিজম বার্তা’। ‘বিজনেস অ্যান্ড কমার্স’ শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ডেসকোর ‘ডেসকো’ অ্যাপস, রানার আপ সিফাত সারওয়ারের ‘সপ-আপ’ অ্যাপস।