ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব বেড়েছে রবির

ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব বেড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2017, 12:48 PM
Updated : 23 Feb 2017, 12:48 PM

গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) পর্যন্ত সময়ে এই রাজস্ব বাড়ে বলে রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে গ্রাহক ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ।

২০১৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি ২১ দশমিক ১ বিলিয়ন টাকা জমা দিয়েছে। এটি রবির মোট রাজস্বের ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।

একীভূতকরণের পর রবির গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ (প্রাক্কলিত) এবং রবি আবির্ভূত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে।

২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে মোট রাজস্ব দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ইন্টারনেট সেবা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

৩.৫জি ও ২.৫জি ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য নেটওয়ার্ক খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উদ্ভাবনী ডাটা অফারের ফলে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করে অপারেটরটি।

গ্রাহকদের আরো মানসম্মত ভয়েস ও ডাটা সেবায় ৩.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তার এবং ২.৫জি নেটওয়ার্কের মান আরো বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগ করে চলেছে রবি।

২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকাসহ কোম্পানির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবির মোট মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ১৮২ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাকা। ১২ হাজার ৮৫০ টির বেশি সাইট নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলাতেই রয়েছে রবির নেটওয়ার্ক, যার মধ্যে ৭ হাজার ৭০০ টির বেশি ৩.৫জি সাইট।

রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এয়ারটেলর সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ শেষ করেছি আমরা। একীভূতকরণের ফলে গ্রাহকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পুরো টেলিযোগাযোগ শিল্পই উপকৃত হবে। এখন আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য দেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”

২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন টাকা, যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১৭৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা।

অন্যদিকে একই সময়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন টাকা।