বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “টেলিটকের যে প্রকল্পগুলো হাতে আছে সেগুলো বাস্তবায়িত হলে এবং অর্থ ছাড় হলে অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে এক বছরের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অন্তত নেটওয়ার্কের দিক থেকে টেলিটককে দাঁড় করাতে সক্ষম হব।”
রাজধানীর বনানী পোস্ট অফিসের দ্বিতীয় তলায় টেলিটকের নতুন কাস্টমার কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তারানা।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টেলিটকের নিজস্ব অর্থায়নে যতটুকু এগিয়ে নেওয়া যায় তাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে দুটি লটের কাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এটি শেষ হলে উপজেলা পর্যন্ত থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ সম্ভব হবে।”
তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যন্ত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।
বর্তমানে টেলিটকের ৯১টি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সংখ্যা ১০২টিতে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে টেলিটকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেতা জাহিদ হাসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে জুলাই শেষ নাগাদ টেলিটকের গ্রাহক প্রায় ৪৫ লাখ।
গত মার্চে ‘স্বপ্ন হাসিমুখের’ স্লোগান নিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে টেলিটক।