শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই দিনব্যাপী বিপিও সামিটের সমাপনী পর্বের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিশ্বের পরিবর্তনশীল প্রণতায় বিপিও নতুন একটি ধারা হিসেবে উদ্ভব হচ্ছে।
“ভারত বর্তমানে এইখাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। বাংলাদেশের তরুণরা নিজেদের তৈরি করতে পারলে এই খাতের নেতৃত্ব দিতে পারবে।”
আউট সোর্সিং খাতের ধারাবাহিক অগ্রগতির কয়েকটি চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে এই খাত থেকে আয়ের পরিমাণ ১৮ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে যা ছিল ১৩ কোটি ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও খাত থেকে ১০০ কোটি ডলার আয় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
“বাংলাদেশে বিপিও’র এর ভবিষ্যৎ বলে দেয় সম্মেলনে দর্শকদের উপস্থিতি। শেষ দিনে ২৫ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তিপ্রেমী এই সামিটে উপস্থিত হয়েছেন,” বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বাংলাদেশে আইসিটি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, “১৬ বছর আগে এদেশে একটি কম্পিউটার পাওয়া দুষ্কর ছিল। সময়ের ব্যবধানে সেই পরিস্থিতি এখন অতীত। আইসিটি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। এদেশের তরুণ নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
“২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন, তখন তিনি এর কোনো রূপরেখা ঠিক করেননি। তিনি বলেছিলেন, আমরা তরুণ নেতৃত্বের কাছে এই দায়িত্বটি দিয়েছি, যারা প্রকৃত অর্থেই এই খাতকে নাড়া দিতে পারবে। আজকে তার সেই ভিশন বাস্তবে রূপ পেয়েছে।”
সমাপনী অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বেসিস এর সভাপতি মোস্তফা জব্বারসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।