নিহত নাজিম উদ্দিন (৩৫) একটি ডাকাত দলের প্রধান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাতের এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত পুলিশ সদস্যও আহত হন বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই মিজানুর রহমান, রাফিকুল ইসলাম জামান, দুলাল হোসেন, নায়েক মোজাম্মেল হোসেন, কনস্টেবল ইয়াছিন, কামরুল হাসান ও শাহাদাত।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এক দল ডাকাত বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ।
“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুড়তে থাকে, পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ডাকাত সর্দার নাজিম গুলিবিদ্ধ হয়।”
ওসি বলেন, নাজিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে।
গুলিবিদ্ধ নাজিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই পঙ্কজ বড়ুয়া জানান।
ঘটনাস্থল থেকে মো. দিদার নামে (২৫) একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয় বলে ওসি জানান।
আহত পুলিশ সদস্যদের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার এসআই আযাদুল ইসলাম।