মুকুলের স্ত্রী নাজনীন আকতার তন্বীর করা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন সিঁথি। তার বিরুদ্ধে নির্যাতনে প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জামিনের জন্য স্বামী ব্যাংকার রাজিউল আমীন বা মামলার বাদীর জামিনদার হওয়ার শর্ত দেন বিচারক।
পরে সিঁথির স্বামী রাজিউল আদালতে উপস্থিত হলে বেলা ৩টায় দুইজনের উপস্থিতিতে শুনানি নেন ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে। এসময় রাজিউল স্ত্রীর জামিনদার হতে অস্বীকৃতি জানান।
নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য দুজনকে কিছুটা সময় দেন বিচারক। কিন্তু রাজিউল রাজি না হওয়ায় বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সিঁথিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান জানান।
স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক মুকুলকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
বর্তমানে কারাবন্দি মুকুলকে এরইমধ্যে চাকরিচ্যুত করেছে গাজী টিভি।
মুকুলের স্ত্রী নাজনীন আকতার তন্বী দৈনিক জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। এই দম্পতির এক সন্তান রয়েছে। দুবছর আগে তাদের আরেক সন্তান চন্দ্রমুখী মারা যাওয়ার পর শোকে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন তন্বী।
তন্বীর অভিযোগ, ব্যাংকারের স্ত্রী সিঁথির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর তার উপর নানা নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন মুকুল।
প্রথম সন্তান চন্দ্রমুখী অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার উদ্যোগও মুকুল নেয়নি বলে তার অভিযোগ।
চন্দ্রমুখী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য কয়েক মাস হাসপাতালে থাকার সময় মুকুল ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে তন্বীর দাবি।