শনিবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাই সোনা আটকের এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার ফাতেমা আক্তার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুবাই থেকে আসা ফ্লাইটটির সিলেট হয়ে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা ঢাকায় অবতরণ করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তখন বিমানে তল্লাশি চালানো হয়।
“উড়োজাহাজটির আসন নম্বর ১৮ এইচ এর সামনে রাখা লাইফ জ্যাকেটের ভেতরে একটি সিগারেটের প্যাকেটে ১০ তোলা ওজনের ২৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।”
তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থার যে উড়োজাহাজটিতে স্বর্ণ পাওয়া গেছে তা আটক করা হলেও বিমান কর্তৃপক্ষের আবেদনে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফাতেমা বলেন, “আমরা যখন চাইব, তদন্তের জন্য তারা উড়োজাহাজটি হাজির করতে রাজি হওয়ায় এটি তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে কোনো যানবাহন থেকে অবৈধ কিছু উদ্ধার করা হলে তদন্তের জন্য তা জব্দ করা যায়। তবে কোনো উড়োজাহাজ জব্দ করা হলে তা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন বিমান সংস্থার তিনটি উড়োজাহাজ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের জব্দের তালিকায় রয়েছে বলে জানান ফাতেমা।