শনিবার প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে সকালে ফল ঘোষণা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান জানান, এবছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত হাজার ১১৬ জন।
গত বছর ১০ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, মানবিকে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
ফল ঘোষণার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, চতুর্থ বিষয়সহ এবার মোট এক হাজার ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। গণিত ও উচ্চতর গণিতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়েছে।
“রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার্থীরা উদ্বেগ ও ভয় নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। এসব কারণে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।”
বিএনপি জোটোর হরতাল-অবরোধের মধ্যে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসে শিক্ষার্থীরা। হরতালের কারণে সবগুলো পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালের কারণে তা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়।
হরতালের কারণে পিছিয়ে যায় এসএসসির সবগুলো পরীক্ষা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবারে নেওয়া হয় এসব পরীক্ষা।