ওই কমিটির সহসভাপতি বখতিয়ার রানার সভাপতিত্বে শুক্রবার রাতে এই বৈঠকে ওই কমিটির সদস্য ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমীন ও নুরুল হাসান খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর আবদাল আহমদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রেস ক্লাব পরিচালিত হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক আহুত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়। ক্লাবে এ ধরনের কোনো দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন হয়নি। ক্লাবের সদস্যরা কোনো ভোটে অংশ নেননি।”
গত বৃহস্পতিবার ক্লাবে একটি সাধারণ সভা থেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়, যাতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাংবাদিক নেতারাও ছিলেন। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির কেউ ছিলেন না।
ভোট ছাড়াই ‘সমঝোতা ‘ মাধ্যমে এই সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সভাপতি করা হয় আওয়ামী লীগ সমর্থক মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে এবং বিএনপি সমর্থক কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক।
ওই ‘সাধারণ সভা’ প্রসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সেই সভা থেকে কমিটি ঘোষণা দেওয়া একটি হাস্যকর বিষয় ছাড়া কিছুই নয়। তথাকথিত সভাটি প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির আহুত কোনো বৈধ সভা ছিল না। এহেন তৎপরতা গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও এখতিয়ার বহির্ভূত।”
মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজের সঙ্গে ‘পরামর্শক্রমে’ শনিবারও ব্যবস্থাপনা কমিটির ‘জরুরি সভা’ ডাকা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।