‘অবৈধ অভিবাসন রোধে যেতে হবে সমস্যার মূলে’

দীর্ঘস্থায়ী সমাদান পেতে হলে অবৈধ মানবপাচারের অন্তর্নিহিত শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। আর এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগী ভূমিকায় দেখতে চায় বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 03:30 PM
Updated : 29 May 2015, 06:44 PM

শুক্রবার ব্যাংককে অভিবাসন সংকট নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।

আসিয়ান অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।

শহিদুল হক বলেন, “পাচারের শিকার হওয়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি সাগর পথে মানব পাচারের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে অভিহিত করে জড়িতদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন।

“আমরা যেকোনো উপায়ে পাচারের এই ধারা বন্ধ করতে চাই। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক হয়েছে, মানবপাচার বন্ধে এখনই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে।”

আসিয়ান জোটের দেশের পাশাপাশি কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।

সাগর পথে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে মানবপাচারের ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্বে জোর আলোচনার মধ্যেই এক ছাদের নিচে বসল এ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা।

মানবপাচারের শিকার হয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের সম্প্রতি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সরকার ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া সাগরে ভাসমান এই মানুষদের উদ্ধারের সিদ্ধান্ত জানায়। অনেকে ঠাঁই পান দেশটির আচেহ প্রদেশে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমরা এই ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক বাংলাদেশ হাই কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন।”

জাতীয়তা পরীক্ষার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

মানবপাচারের শিকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ায় ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান শহিদুল হক।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “মানব পাচারের শিকার এই মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের উচ্চ বেতন, নিশ্চিত চাকরি দেওয়ার মতো প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।”

এছাড়া কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তাদের জোর করে নৌকায় তোলা হয়েছিল।